নারী নেতৃত্ব তৈরিতে গকসুর প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনে নারী নেতৃত্বের সঙ্কট শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজে হতাশা সৃষ্টি করেছে। গকসুর সর্বশেষ নির্বাচিত সহসভাপতি জুয়েল রানা জানান, প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চাইতেন, এখানে মেয়েদের নেতৃত্ব তৈরি হোক এবং তারা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
২০১৩ সালে প্রথম গকসু নির্বাচনে কিছু নারী পদে জয়ী হন। তবে ভিপি বা শীর্ষ পদে নারীর সংখ্যা খুবই কম। ৯ আগস্ট চতুর্থ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও নারী নেতৃত্বের সঙ্কট একই রকম রয়ে গেছে।
শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার মিতু ও আল-আরাফাত বলেন, নিরাপত্তাহীনতা, সামাজিক ট্রলিং ও পারিবারিক সমর্থনের অভাব নারী শিক্ষার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে বড় নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনা মেয়েদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে।
শিক্ষক হাবিবুল্লাহ্ বেলালী এবং ডিন নিলুফার সুলতানা বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতার প্রেক্ষাপটে নারীরা রাজনৈতিক বা প্রতিনিধিত্বশীল কোনো জায়গায় অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীনতা ও নিয়মিত নির্বাচন না হওয়ায় নারীরা পিছিয়ে আছে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, নারী নেতৃত্বের বিষয়ে সচেতন, ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন আয়োজনের চেষ্টা চলছে এবং শিক্ষার্থী ও প্রশাসন একসাথে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে।