নাছিরনগরে সাংবাদিকের নামে পাচঁ মামলা;বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড়
স্থানীয় গোষ্ঠীগত বিরোধ থেকে উদ্ভূত ঝামেলা, যেখানে মাটির নৌকার কাজকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয়ে একটি সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মানুষ আহত হয়। এরপর কিছু স্থানীয় লোকের উসকানিতে এই বিরোধ মীমাংসার পথে না গিয়ে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাছির নগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামে। ওই গ্রামের জুর মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া ও মৃত ইয়াকুব মিয়ার ছেলে শেকুল মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সাংবাদিক আছকির উদ্দিন খাঁ, যিনি রাজধানী টেলিভিশন, দৈনিক জনকথা, ও মর্নিংপোস্ট পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রতিনিধি এবং রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রেসের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাগুলোতে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং পরিবারগুলো বিভিন্ন সময় আদালতে অভিযোগ করেছে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী কাচা মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া নাসিরনগর থানায় জি/আর-১৭০/২৪ হিসেবে মামলা করেছেন। যাতে আছকির উদ্দিনসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। বদরুল আলমের ছেলে নূর আলম দুটি মামলা করেন। একটিতে ৬৫ জন অপরটিতে ১৬জনকে আসামি করেন। মৃত মনা মিয়ার ছেলে এনামুল উরফে ছলু মিয়া সি/আর-৬৩০/২৪ মামলাটি সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করেছেন। যাতে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সিনিয়র সাংবাদিক আছকির উদ্দিন খাঁ-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, জুর মিয়ার ছেলে কামাল মিয়ার লোকজন মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে শেকুল মিয়ার বাড়ি ভাঙচুর ও ঝগড়ার ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শেকুল মিয়ার স্ত্রীসহ আহত ব্যক্তিরা নাসিরনগর হাসপাতালে ভর্তি হলে অন্য সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করেন।
আছকির উদ্দিন খাঁ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা ও গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ কেউই নিরাপদ বোধ করছেন না। তাদের রাস্তাঘাটে চলাচল, হাট-বাজারে যাতায়াত এবং ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত তারা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন, এবং সুযোগ পেলে প্রতিপক্ষের তিনটি গোষ্ঠীর লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।