নবীগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মহিবুর রহমান মবু এক ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে মামলা প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। রবিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৫টায় হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে এই দাবি জানান।
মহিবুর রহমান মবু অভিযোগ করে বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার মিনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরী তাকে তাদের হয়ে কাজ করতে চাপ দেন। তারা নবীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা রাসেল চৌধুরীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখলের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে একটি ধর্ষণ মামলায় তাকে এবং আরও দুজন—ছাও মিয়া ও খসরু মিয়াকে আসামি করা হয়।
তিনি জানান, অভিযুক্তরা নিজ বাসার গৃহকর্মী নাছিমা বেগমকে মিনাল চৌধুরীর বাসায় আটক করে তার ভাইপো কুহিনুর চৌধুরীর মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার করায় এবং পরবর্তীতে এই ঘটনায় মহিবুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আট মাস আত্মগোপনে থাকার পর মহিবুর রহমান মবু সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে মুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, মামলার বাদী নাছিমা বেগম ও তিনজন সাক্ষী—যার মধ্যে রয়েছেন রহমত আলী—সম্প্রতি হবিগঞ্জের নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতে ঘোষণা দেন যে, অভিযুক্তরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং বাদী তাদের চেনেন না।
বাদী নাছিমা বেগম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, তাকে জোরপূর্বক এই মামলায় ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রকৃত দোষী কুহিনুর চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান।
মহিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করেন, এর আগেও দিলাল চৌধুরী তার চাচাতো বোন জোৎস্না চৌধুরীর বাড়ি ও ব্যবসা জোর করে দখল করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে জোৎস্না চৌধুরী সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি জানান, মৃনাল চৌধুরী ও কুহিনুর চৌধুরী নবীগঞ্জের আলোচিত রিমন হত্যা মামলার আসামি।
সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে মহিবুর রহমান ও নাছিমা বেগম দাবি করেন, তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে আছেন। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।