নতুন বাড়িতে উঠা হলো না তৌকিরের
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের মৃত্যুতে রাজশাহীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তৌকিরের বাবা রাজশাহীর সপুরা এলাকায় জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। তবে বাড়ির কাজ শেষ হওয়ার আগেই তৌকিরের মৃত্যু হলো, ফলে নতুন বাড়িতে উঠা হলো না তার।
তৌকিরের পরিবার প্রায় ২৫ বছর ধরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। তিনি দুই ভাইবোনের বড় এবং তার ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বিকেলে নিহত পাইলটের পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী থেকে ঢাকায় বিশেষ বিমানযোগে যায়।
তৌকিরের মামা রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একজন পরিশ্রমী, ভদ্র ও মেধাবী ছেলে ছিলেন। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুই মেনে নিতে পারছেন না পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।
তৌকিরের স্ত্রী ঢাকায় সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার। বছর খানেক আগে তারা বিয়ে করেছিলেন।
তৌকির রাজশাহীর নিউ গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে পড়াশোনা শুরু করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে তিনি বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।
পাবনা ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ এবং বিমান বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা তৌকিরকে মেধাবী, নম্র ও দক্ষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে বিমান বিধ্বস্তে তৌকিরসহ এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।