নগরীতে অবৈধ জুয়া ও র্যাফেল ড্রয়ে কেএমপির অভিযানে আটক ৩৬
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) নগরীতে অবৈধ জুয়া ও র্যাফেল ড্রয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩৬ জনকে আটক করেছে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে জুয়া ও র্যাফেল ড্র পরিচালনার সরঞ্জাম, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দিনভর অভিযানে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৭টি ইজিবাইক, ৭ সেট মাইক, ৮টি টিনের ছোট ড্রাম, বিভিন্ন রঙের ১২ বান্ডেল ও ২৫৫৭টি খোলা টিকিট এবং টিকিট বিক্রির নগদ ১৭,১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। কেএমপি অধ্যাদেশ ৯৫ ধারা অনুযায়ী আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গিলাতলা বালুর মাঠে মাসব্যাপী “মিনি বাণিজ্য মেলা”র অন্তরালে এই অবৈধ জুয়ার আসর পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২০০টিরও বেশি ইজিবাইক, পিকআপ এবং মোটরসাইকেলের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খানজাহানআলী থানার ওসি মো. কবির হোসেনকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা মাসোয়ারা দিয়ে এই জুয়ার আসর পরিচালিত হচ্ছে। তিনি নিজে মেলার আয়োজকদের সঙ্গে মেলার স্থান পরিদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় থানার ওসি এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী দাবি করেছেন, যৌথ বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এই মেলা বন্ধ করা হোক।
মেলার শুরুর পর থেকে নগরীতে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এর পেছনে জুয়ার আসরকে দায়ী করেছেন এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা এই ধরনের মেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জুয়ার নামে এই কার্যক্রম সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর অভিযান দিয়ে এই র্যাফেল ড্র বন্ধ করা হোক।”
উল্লেখ্য: মেলার আয়োজক হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলেও এখনো পর্যন্ত মেলা বন্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।