ডুমুরিয়ায় শোলমারি সুইচগেট ও ভরাট নদী পরিদর্শনে খুলনা জেলা প্রশাসক
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শনিবার (২৫ এপ্রিল) ডুমুরিয়ার শোলমারি সুইচগেট ও শোলমারি নদী পরিদর্শন করেছেন। নদীর বর্তমান করুণ অবস্থা সরেজমিনে দেখে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “শোলমারি নদী পলি জমে ব্যাপকভাবে ভরাট হয়ে গেছে, যা এলাকাবাসীর জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার মানুষদের বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা পানি নিস্কাশনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে মানুষের ক্ষতি না হয় এবং কৃষকেরা নিরাপদে ফসল উৎপাদন করতে পারে।”
এক সময়ের দাপুটে স্রোতধারী শোলমারি নদী এখন পলি জমে সংকুচিত হয়ে দুই প্রান্ত থেকে মাত্র তিন মিটার প্রশস্ত সরু নালায় পরিণত হয়েছে। যেখানে নদীটির মূল প্রশস্ততা ছিল প্রায় ১৫০ মিটার। জেলা প্রশাসক নদী দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এ অবনতির মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দ্রুত নদী রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা জোনের এসডি মোঃ আতিকুর রহমান, এসও তরিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসান ইবনে আমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ বাইজিদ, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহাতাব হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার জয়নাল আবেদিন, ডুমুরিয়া থানার এসআই মিজানুর রহমান, ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বিশ্বাসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ শোলমারি নদী খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্তমানে নদীটির সংকুচিত ও ভরাট অবস্থা বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।