জিয়া পরিষদের ভুয়া কমিটি,কেন্দ্রে কমিটির সতর্কতার নোটিশ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের স্বাক্ষর জাল করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট ভুয়া কমিটি অনুমোদন দেয়া কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নোটিশ জারি করে সতর্কতা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। যা সংগঠনটির ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডি থেকেও বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ হয়েছে।কিন্তু ভুয়া কমিটি সদস্য কারা কারা সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ কোন তথ্য দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলায় জিয়া একটি কমিটি আছে।যাতে সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেলাল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: শফিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো: আবু মিয়াসহ ৪১জন সদস্য রয়েছে।কিন্তু ওই নোটিশ এদেরকেই যে উদ্দেশ্য করা হয়েছে তাও পরিষ্কার বুঝা যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে বিতর্কিত মাধবপুর উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা কেন্দ্র কমিটির কোন সাক্ষর জাল-জালিয়াতি করি নাই। একটি পক্ষ আমাদের সাথে চক্রান্ত করছে।আমরা ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। আমাদের মধ্যে কোন নিয়মবহির্ভূত কোন কর্মকাণ্ড নেই।এ বিষয়ে আমরাও কেন্দ্র কমিটিতে পাল্টা চিঠি দেবো।
জিয়া পরিষদ কেন্দ্র কমিটির নোটিশে বলা হয়,জিয়া পরিষদের প্যাড, চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের স্বাক্ষর জাল করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা শাখা জিয়া পরিষদ এর কার্য্যকরী কমিটি নামে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট কমিটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যাহা কোনো স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে জিয়া পরিষদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে প্রতীয়মান হয়।
জিয়া পরিষদ এর নামে এ ধরণের জালিয়াতিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের প্রতি অবগত করা হল।
স্বাক্ষর জাল করে এ ধরণের ভুয়া কমিটির বিষয়ে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন।
জিয়া পরিষদের দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান,আমরা যাদেরকে বুঝাতে চাচ্ছি আশা করি সবাই বুঝাতে পারছেন কাদেরকে বলছি। কমিটিটি সম্পূর্ণ ভুয়া। প্রতারণার উদ্দেশ্যেই সম্ভবত এটি করা হয়েছে।আমরা হবিগঞ্জের সর্বসাধারণকে সতর্ক তাহার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসে নাই। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।