জামালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-আইনজীবীদের সংঘর্ষ, আহত ১১
সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এটি একটি ধর্ষণ মামলার শুনানির সময় ঘটে, যেখানে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা ধর্ষণের ঘটনার মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।
মামলার শুনানি চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। শুনানি শেষে, আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম তরফদারের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিতর্ক শুরু হয়। এই বিতর্কের এক পর্যায়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলাতে গিয়ে হামলার শিকার হন, যার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ ঘটনায় আহত হন ১১ জন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইনজীবী এবং ছাত্র নেতাকর্মী। আহতদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী এবং আইনজীবী জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, তবে কিছু ছাত্র চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং আটক হওয়া দুই ভাইকে নিরাপদে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান বিবেক বলেন, আসামী পক্ষের আইনজীবীরা মিথ্যা প্রমাণিত করতে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করেছে। তিনি দাবি করেন, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের আইনজীবী নিবন্ধন বাতিল করা হোক।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিশাদ রেজওয়ান বাবু জানান, কিছু দুষ্কৃতিকারী আদালতে ঢুকে আইনজীবীদের হুমকি দেয় এবং হামলা চালায়। এই ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।