ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের

চেকপোস্ট ডেস্ক::

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন নিশ্চিত করতে খণ্ডকালীন প্রকল্প থেকে সরে এসে কৃষি, পানি, জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় ব্যবস্থাপনাসহ সব খাতে সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ চরম ঝুঁকির মধ্যেও বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে জীবন, ভূমি, পানি ও উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা সুরক্ষিত করেছে। দেশের অভিযোজন কার্যক্রমে রয়েছে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যয়বহুল ১১৩টি কর্মসূচি। এছাড়া বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড দেশের প্রথম দেশীয় অভিযোজন তহবিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

দূর্যোগ প্রস্তুতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৭৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৪,২৯১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ভাসমান কৃষি, লবণ সহনশীল ধান প্রজাতি এবং প্রকৃতিনির্ভর অভিযোজন প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের অভিযোজন সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি হলো শক্তিশালী নীতি ও শাসনব্যবস্থা, জনগণভিত্তিক নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৩:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
৫৪০ বার পড়া হয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের

আপডেট সময় ০৩:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন নিশ্চিত করতে খণ্ডকালীন প্রকল্প থেকে সরে এসে কৃষি, পানি, জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় ব্যবস্থাপনাসহ সব খাতে সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ চরম ঝুঁকির মধ্যেও বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে জীবন, ভূমি, পানি ও উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা সুরক্ষিত করেছে। দেশের অভিযোজন কার্যক্রমে রয়েছে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যয়বহুল ১১৩টি কর্মসূচি। এছাড়া বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড দেশের প্রথম দেশীয় অভিযোজন তহবিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

দূর্যোগ প্রস্তুতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৭৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৪,২৯১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ভাসমান কৃষি, লবণ সহনশীল ধান প্রজাতি এবং প্রকৃতিনির্ভর অভিযোজন প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের অভিযোজন সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি হলো শক্তিশালী নীতি ও শাসনব্যবস্থা, জনগণভিত্তিক নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।