ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা আবারো গ্রেপ্তার

সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল), জয়পুরহাট::

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা (৩৫) কে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী আজ সোমবার সকালে জানান, গ্রেপ্তারকৃত রিজওয়ানাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলার আরও দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রিজওয়ানা আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং এজেন্ট ব্যাংক চালুর পর থেকেই ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পাঁচটি মামলা হয়েছে। আরও ১০-১২ জন ভুক্তভোগী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আত্মসাতের মোট পরিমাণ তিন কোটিরও বেশি।

পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকার হিসাব মেলাতে গিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হয়। ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা স্বীকার করেন, গ্রাহকদের টাকা দিয়ে তিনি জমি ও সম্পদ কিনেছেন। এ সংক্রান্ত একটি স্বীকারোক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেদিনই রিজওয়ানা, মাসুদ রানা এবং এজেন্ট জাহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

পরে একজন গ্রাহক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে একদিন পর তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ৯ এপ্রিল আক্কেলপুর ও ১৩ এপ্রিল জয়পুরহাট শহরে ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। তারা টাকা ফেরত এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ভুক্তভোগী ও আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম মণ্ডল বলেন, “এ পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে। অনেকেই এখনো জানেন না তাঁদের টাকা কোথায় গেছে। এমনকি জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। ইসলামী ব্যাংকের জেলা শাখার কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানা উচিত ছিল।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
৫১৬ বার পড়া হয়েছে

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা আবারো গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৫:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা (৩৫) কে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী আজ সোমবার সকালে জানান, গ্রেপ্তারকৃত রিজওয়ানাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলার আরও দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রিজওয়ানা আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং এজেন্ট ব্যাংক চালুর পর থেকেই ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পাঁচটি মামলা হয়েছে। আরও ১০-১২ জন ভুক্তভোগী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আত্মসাতের মোট পরিমাণ তিন কোটিরও বেশি।

পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকার হিসাব মেলাতে গিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হয়। ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা স্বীকার করেন, গ্রাহকদের টাকা দিয়ে তিনি জমি ও সম্পদ কিনেছেন। এ সংক্রান্ত একটি স্বীকারোক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেদিনই রিজওয়ানা, মাসুদ রানা এবং এজেন্ট জাহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

পরে একজন গ্রাহক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে একদিন পর তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ৯ এপ্রিল আক্কেলপুর ও ১৩ এপ্রিল জয়পুরহাট শহরে ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। তারা টাকা ফেরত এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ভুক্তভোগী ও আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম মণ্ডল বলেন, “এ পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে। অনেকেই এখনো জানেন না তাঁদের টাকা কোথায় গেছে। এমনকি জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। ইসলামী ব্যাংকের জেলা শাখার কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানা উচিত ছিল।”