ছাত্রদল নেতার চাঁদা দাবির অডিও ফাঁস, চলছে যাচাই-বাছাই
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম খানের কণ্ঠসদৃশ কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের অডিওতে তাঁকে একটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতে শোনা যায়। বুধবার সকালে অডিওটি ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে ভাইরাল হয়।
ওই ব্যবসায়ী মো. মনোহর, যিনি উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য ও মুঠোফোন ব্যবসায়ী। ৫ আগস্ট থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অডিওতে শোনা যায়, কথোপকথনের সময় ব্যবসায়ীকে হুমকি দেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘তুমি যদি মেল হও, তাহলে বুক ফুলিয়ে চলবা। তোমাকে নিয়ে থানায় যাব, এসপি অফিসে যাব, ডিবি অফিসে যাব।’ এ সময় তিনি দুই লাখ টাকা পরদিন সকালে দিতে বলেন এবং সাক্ষাতে দেখা করার শর্ত দেন।
কথোপকথনের একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতার কণ্ঠসদৃশ ব্যক্তি বলেন, ‘আরেকটা কথা মনে রাইখ, দু-এক দিনের মধ্যে আরও একজনকে ফুল টাইম বিছানায় ফালায়ে দিমু।’ ব্যবসায়ী তাঁর শারীরিক নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুললে তাঁকে চিকিৎসার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম খান দাবি করেন, ‘ওই কণ্ঠ আমার না। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে আমার ছবি ব্যবহার করে এটি প্রচার করা হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।’
অন্যদিকে, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোশারফ সিদ্দিকী বলেন, ‘অডিওটি যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করছে।