ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুনারুঘাটে আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে ৬ বছর ধরে ডিলার শূন্য অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করে চাষাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার::

চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিসিআইসির সারের ডিলার না থাকায় অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করে চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। ২০১৮ সালের ২০ জুলাই আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন এর বিসিআইসির সারের ডিলার মোঃ আব্দুল মোমিন চৌধুরীর মৃত্যু হলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালনার লোক না থাকায় আর কোনো সার উত্তোলন করা হয়নি।

এদিকে বিসিআইসির ডিলার না থাকায় বিএডিসির সারের ডিলার মফিজ মিয়া তার আমুরোড বাজারস্থ মোহনা ট্রেডার্স থেকে যা ইচ্ছে তাই দামে সার বিক্রয়ের অভিযোগ উঠছে হরহামেশাই। নির্ধারিত মূল্যের অধিক দাম নেওয়ার কারণে বিক্রয় মেমোও দিচ্ছেন না ক্রেতাদের। কৃষকরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে।
তারা লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টদের বরাবরে।

কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আমুরোড বাজারে সার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন । অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির দায়ে মোহনা ট্রেডার্স, এমরান ট্রেডার্স ও নাছির এন্টারপ্রাইজকে অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপরও ন্যায্য মূল্যে সার পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।

২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিচালনার লোক না থাকায় ডিলারশীপ বাতিল করে জামানতের টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি বরাবরে লিখিত আবেদন করেন মোমিন চৌধুরীর স্ত্রী কাজি হামিদা বেগম চৌধুরী।

হামিদা বেগমের আবেদন তদন্ত শেষে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর ডিলারশিপ বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন সরকার।

৩ মার্চ ২০২০ সালে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ।
আবেদন মঞ্জুর হলে ২০২৩ সালের ২১ জুন বিসিআইসির ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন এর শেষ তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০ জুলাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। বিজ্ঞপ্তির ১ বছর অতিক্রান্ত হলেও আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিসিআইসির সারের ডিলার পদটি শূণ্যই রয়ে গেছে। এদিকে সারের সংকট ও ন্যায্য মূল্যে সার না পেয়ে কৃষকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষি কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন মহলে ছুটাছুটি করছেন কৃষকরা। তাদের দাবি ইতিমধ্যে যারা বিক্রয়ে অনিয়ম করেছেন তাদের বাদ দিয়ে দ্রুত আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিসিআইসি সারের ডিলার নিয়োগ দেওয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাটে আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে ৬ বছর ধরে ডিলার শূন্য অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করে চাষাবাদ

আপডেট সময় ০৮:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিসিআইসির সারের ডিলার না থাকায় অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করে চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। ২০১৮ সালের ২০ জুলাই আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন এর বিসিআইসির সারের ডিলার মোঃ আব্দুল মোমিন চৌধুরীর মৃত্যু হলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালনার লোক না থাকায় আর কোনো সার উত্তোলন করা হয়নি।

এদিকে বিসিআইসির ডিলার না থাকায় বিএডিসির সারের ডিলার মফিজ মিয়া তার আমুরোড বাজারস্থ মোহনা ট্রেডার্স থেকে যা ইচ্ছে তাই দামে সার বিক্রয়ের অভিযোগ উঠছে হরহামেশাই। নির্ধারিত মূল্যের অধিক দাম নেওয়ার কারণে বিক্রয় মেমোও দিচ্ছেন না ক্রেতাদের। কৃষকরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে।
তারা লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টদের বরাবরে।

কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আমুরোড বাজারে সার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন । অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির দায়ে মোহনা ট্রেডার্স, এমরান ট্রেডার্স ও নাছির এন্টারপ্রাইজকে অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপরও ন্যায্য মূল্যে সার পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।

২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিচালনার লোক না থাকায় ডিলারশীপ বাতিল করে জামানতের টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি বরাবরে লিখিত আবেদন করেন মোমিন চৌধুরীর স্ত্রী কাজি হামিদা বেগম চৌধুরী।

হামিদা বেগমের আবেদন তদন্ত শেষে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর ডিলারশিপ বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন সরকার।

৩ মার্চ ২০২০ সালে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ।
আবেদন মঞ্জুর হলে ২০২৩ সালের ২১ জুন বিসিআইসির ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন এর শেষ তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০ জুলাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। বিজ্ঞপ্তির ১ বছর অতিক্রান্ত হলেও আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিসিআইসির সারের ডিলার পদটি শূণ্যই রয়ে গেছে। এদিকে সারের সংকট ও ন্যায্য মূল্যে সার না পেয়ে কৃষকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষি কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন মহলে ছুটাছুটি করছেন কৃষকরা। তাদের দাবি ইতিমধ্যে যারা বিক্রয়ে অনিয়ম করেছেন তাদের বাদ দিয়ে দ্রুত আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিসিআইসি সারের ডিলার নিয়োগ দেওয়া।