ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুকনগরে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজারে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে আটলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চুকনগর বাজার এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেন আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ হেলাল উদ্দিন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার।

ঘটনার সূত্রপাত হয় পহেলা বৈশাখে চুকনগর হাটের ইজারা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর। এরপর বাজার ও স্থানীয় মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েক সপ্তাহের জন্য অস্থায়ীভাবে ইজারা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়, যাতে পুনরায় ইজারা প্রদান সহজ হয়। কিন্তু মঙ্গলবার দৌলত সরদার তার অনুসারীদের নিয়ে হাটের ইজারা তোলেন, যা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

বুধবার আবার ইজারা তুলতে গেলে হেলাল উদ্দিনের অনুসারীরা বাধা দেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দৌলত সরদারের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন হেলাল উদ্দিন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, তার পক্ষের সুলতান সেলিম, দেবব্রত রায়, অসিম শেখ, রানা শেখ এবং দৌলত সরদারের পক্ষের আবু হাসান রুস্তম ও আমিনুল ইসলাম। হেলাল উদ্দিন ছাড়া অন্য আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে দৌলত সরদার চুকনগর বাজারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাজার ও মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি নিজেই হাটের টাকা তুলছেন। গতকাল তার লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়, এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন। পরে স্থানীয় জনতা প্রতিরোধ করে।”

অন্যদিকে দৌলত সরদার অভিযোগ করেন, “চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মসজিদের নামে হাটের ইজারা নিয়ে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এক বছরে অন্তত ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা রয়েছে তার। আমাদের লোকজনকে মারধর করে হাট থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে আবারও হামলার শিকার হই।”

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুদ রানা বলেন, “হাটের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৫৫৩ বার পড়া হয়েছে

চুকনগরে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজারে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে আটলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চুকনগর বাজার এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেন আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ হেলাল উদ্দিন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার।

ঘটনার সূত্রপাত হয় পহেলা বৈশাখে চুকনগর হাটের ইজারা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর। এরপর বাজার ও স্থানীয় মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েক সপ্তাহের জন্য অস্থায়ীভাবে ইজারা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়, যাতে পুনরায় ইজারা প্রদান সহজ হয়। কিন্তু মঙ্গলবার দৌলত সরদার তার অনুসারীদের নিয়ে হাটের ইজারা তোলেন, যা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

বুধবার আবার ইজারা তুলতে গেলে হেলাল উদ্দিনের অনুসারীরা বাধা দেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দৌলত সরদারের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন হেলাল উদ্দিন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, তার পক্ষের সুলতান সেলিম, দেবব্রত রায়, অসিম শেখ, রানা শেখ এবং দৌলত সরদারের পক্ষের আবু হাসান রুস্তম ও আমিনুল ইসলাম। হেলাল উদ্দিন ছাড়া অন্য আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে দৌলত সরদার চুকনগর বাজারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাজার ও মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি নিজেই হাটের টাকা তুলছেন। গতকাল তার লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়, এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন। পরে স্থানীয় জনতা প্রতিরোধ করে।”

অন্যদিকে দৌলত সরদার অভিযোগ করেন, “চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মসজিদের নামে হাটের ইজারা নিয়ে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এক বছরে অন্তত ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা রয়েছে তার। আমাদের লোকজনকে মারধর করে হাট থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে আবারও হামলার শিকার হই।”

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুদ রানা বলেন, “হাটের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।”