চাঁপাইনবাবগঞ্জে সৈয়দ শাহ নেয়ামতউল্লাহ শাহে ওয়ালী (রহঃ) ২ দিনব্যাপী বার্ষিক ঔরস সম্পন্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদের তহাখানার মাজার শরীফে হযরত সৈয়দ শাহ নেয়ামতউল্লাহ শাহে ওয়ালী (রহঃ) ২ দিনব্যাপী বার্ষিক ঔরস শেষ হয়েছে। এই সালে সওয়াবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশ নেন।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক সোনামসজিদের তহাখানা মাজার প্রাঙ্গণে হযরত সৈয়দ শাহ নেয়ামতউল্লাহ শাহে ওয়ালী (রহঃ) বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ২ দিনব্যাপী বার্ষিক ইসালে সওয়াব মাজার কমিটি আয়োজন করে।
আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল দুপুরে কোরআনখানী, বাদ আসর মেহমানদের সাথে কুশল বিনিময় ও দোয়া-দরুদ পাঠ, বাদ মাগরিব হালকায়ে যিকির মাহফিল, এশার নামাজের পরপরই তাবারক বিতরণ, রাত্রি হতে ফজরের আযানের পূর্ব পর্যন্ত যিকির ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত মরহুমের জীবনীর উপর আলোচনা ও জুম্মার নামাজের পরপরই আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইসালে সওয়াব শেষ হয়।
তবে, বর্তমান দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির কারনে তোহাখানা মাজার শরিফে সন্মানিত জিয়ারতিগণের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের ভাদ্র মাসে শেষ শুক্রবারের বার্ষিক ইসালে সওয়াব তহাখানা মাজার কমিটি কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে উদযাপিত হয়নি। সে কারনেই বাদ জুম্মা হযরত শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ (রহ:) এর ব্যবহৃত কাপড় চোপড় ও জিনিষপত্র দেখানো হয়নি মুসলল্লিদের।
এ উপলক্ষে সোনামসজিদ এলাকায় বিশাল মেলা বসে, শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে, বাবা-মায়ের হাত ধরে ও কোলে চড়ে মেলায় এসেছে অনেক শিশু।
বেশিরভাগ শিশুদের দেখা গেছে, মেলার ভেতরে রংধনু শিশু পার্ক ও গৌড় শিশু পার্কে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। অনেক শিশুরা আবার খেলনা কিনতে ব্যস্ত।
বেশির ভাগ স্টল ঘুরে দেখা যায়, বাঘ, সাপ, গাড়ি, মোটরসাইকেল, ট্রেন, বাস , ট্রাকসহ বাহারি রঙের পুতুল এসেছে মেলায়। তাই পছন্দসই খেলনা কিনতে শিশুদের ভিড় এই ঔরস মেলায়।
শিশুদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন রঙের বেলুনও দেখা গেছে মেলায়। বাহারি ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। খেলনা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলম বলেন, দোকান খুলেছি তিন দিন হলো। বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি বাড়ছে বলেও জানান বিক্রেতারা।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপস্থিতি ও দায়িত্ব পালন ছিলো চোখে পড়ার মতো।