ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকায় আহত রিকশাচালকের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৫

চেকপোস্ট ডেস্ক::

ছবি: চেকপোস্ট

গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় রমজান মুন্সী (৩২) নামে গুলিবিদ্ধ আরও একজন যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়াল।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রমজান পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

ঢামেকে রমজানকে নিয়ে আসা তার ভাই হীরা মুন্সী জানান, “ঘটনার দিন (বুধবার) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর এলাকার সিনেমা হলের পাশ দিয়ে রিকশা চালিয়ে ফেরার সময় সহিংসতার মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন রমজান। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই ঢামেকে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।”

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহত রমজান মুন্সীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢামেকে সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জে এনসিপি (ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি)-এর সভা শেষে ফেরার পথে তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় প্রথমেই চারজন নিহত হন। তারা হলেন-মোবাইল ফোন যন্ত্রাংশের দোকানি সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), সিরামিক দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭), রাজমিস্ত্রির সহযোগী রমজান কাজী (১৮)।

স্থানীয়রা জানান, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহর মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলায় অংশ নেয়।

সহিংসতা শুরুর পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাংকে করে তাদের নিরাপদে খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় এখনো কোনো গ্রেফতার বা আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। তবে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
৫১৫ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকায় আহত রিকশাচালকের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৫

আপডেট সময় ১২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় রমজান মুন্সী (৩২) নামে গুলিবিদ্ধ আরও একজন যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়াল।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রমজান পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

ঢামেকে রমজানকে নিয়ে আসা তার ভাই হীরা মুন্সী জানান, “ঘটনার দিন (বুধবার) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর এলাকার সিনেমা হলের পাশ দিয়ে রিকশা চালিয়ে ফেরার সময় সহিংসতার মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন রমজান। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই ঢামেকে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।”

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহত রমজান মুন্সীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢামেকে সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জে এনসিপি (ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি)-এর সভা শেষে ফেরার পথে তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় প্রথমেই চারজন নিহত হন। তারা হলেন-মোবাইল ফোন যন্ত্রাংশের দোকানি সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), সিরামিক দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭), রাজমিস্ত্রির সহযোগী রমজান কাজী (১৮)।

স্থানীয়রা জানান, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহর মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলায় অংশ নেয়।

সহিংসতা শুরুর পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাংকে করে তাদের নিরাপদে খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় এখনো কোনো গ্রেফতার বা আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। তবে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।