খুলনা মহানগরীতে যৌথ বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ ও কালা লাভলু গ্রেফতার
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আরামবাগ এলাকায় গত শনিবার রাত ১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী একটি নির্মাণাধীন বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরু করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের পর খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ শেখ এবং তার সহযোগী কালা লাভলুসহ ১০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন খবর পাওয়া যায় যে, বানরগাতি আরামবাগ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। রাত সোয়া ১ টায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশ অবস্থান নেয়ার পর সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রায় ৮০-৯০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং পরে নৌবাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। যৌথ বাহিনী নির্মাণাধীন ভবনটি ঘেরাও করে এবং সেখান থেকে পলাশ শেখ, কালা লাভলু সহ ৫ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের গুলি করে আরো ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। গোলাগুলিতে ৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌবাহিনীর সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ হাসপাতালে এবং সন্ত্রাসীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অভিযানে পুলিশ ও নৌবাহিনী তাদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি শর্টগান, ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি হাসুয়া, ২টি চাকু, ৪টি মোবাইল ফোন, ৭টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
পলাশ শেখের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইসহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে এবং কালা লাভলুর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। পলাশ শেখ এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতারের পর পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযান সম্পর্কিত বিস্তারিত জানান।
এছাড়া, তিনি আরো জানান, খুলনা মহানগরীর ১২ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর মধ্যে ২ জন এখনও পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।