ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সাবেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব ও সনদ স্থগিত

রবিউল হোসন খান, খুলনা জেলা প্রতিনিধি::

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট শনিবার (৩ মে) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্তের সনদ ও ছাত্রত্ব স্থগিত থাকবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২ মে) রাতে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধর করেন বাংলা বিভাগের ২০১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৭:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
৫২২ বার পড়া হয়েছে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সাবেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব ও সনদ স্থগিত

আপডেট সময় ০৭:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট শনিবার (৩ মে) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্তের সনদ ও ছাত্রত্ব স্থগিত থাকবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২ মে) রাতে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধর করেন বাংলা বিভাগের ২০১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।