খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে খামার দখলের অভিযোগ
খুলনার গল্লামারীতে মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার দখল করে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
আজ (১৪ আগস্ট) সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. খালেদ কনক এবং সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গল্লামারীর খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়, মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, উপ-প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র ফিস হেলথ ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ প্রায় ১০.৩৫ একর সরকারি জমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী জবরদখল করেছে। তারা প্রতিষ্ঠানের মূল নামফলক অপসারণ করে অবৈধভাবে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা করেছে।
এর ফলে কার্প ও চিংড়ি হ্যাচারি, প্রজননক্ষম মৎস্য ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা, জেনেটিক্যালি পরিশুদ্ধ পোনা উৎপাদন, ঘের ও খামারের ভৌত-রাসায়নিক পরীক্ষা, পিসিআর অ্যামপ্লিফিকেশনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও খামার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের ‘মবোক্রেসি’ শুধু জুলাই আন্দোলনের মহৎ উদ্দেশ্যকে বিকৃত করেনি, বরং দেশের উৎপাদনমুখী মৎস্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। শিক্ষার্থীদের এমন দখল কার্যক্রম দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।
বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে অবৈধ দখলদার, উসকানিদাতা ও রাতে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দখলকৃত অফিসসমূহ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম চালুর আহ্বান জানিয়েছে।