খুলনার ফুলতলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান: তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে
খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
গতকাল সকালে দুদকের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। টিমে ছিলেন উপ সহকারী পরিচালক শামীম রেজা ও রুবেল হোসেন।
দুদক সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানের চারটি অভিযোগের মধ্যে তিনটির সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে-অতিরিক্ত টিকিট মূল্য নির্ধারিত ৩ টাকার টিকিটের পরিবর্তে ৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ওষুধ সরবরাহের অপ্রতুলতা ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ফার্মেসি থেকে সব ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। টিমের একজন রোগী সেজে ফার্মেসিতে গেলে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ও গ্যাস্ট্রিক ওষুধ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের খাবার সরবরাহ আবাসিক রোগীদের জন্য দেওয়া খাবারের মান ও পরিমাণ নির্ধারিত মানের তুলনায় কম ছিল। ৪৮০ টাকার রুই মাছ ও চাউলের মান নিম্নমানের পাওয়া গেছে।
চতুর্থ অভিযোগ ছিল, ডাক্তাররা অফিসে ঠিকমতো উপস্থিত থাকেন না। ১৬ জন ডাক্তারের মধ্যে চারজন সংযুক্ত ছিলেন। কেউ কেউ ব্যস্ত থাকায় যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমরা দুদক কমিশনকে রিপোর্ট দেব। কমিশন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা বলেন, “জনবল কম থাকার কারণে রোগীদের খাবারের মান নিয়মিত পরীক্ষা করা কঠিন। নির্ধারিত টিকিটের বেশি নেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওষুধ শেষ হয়ে গেলে ডাক্তারদের শর্ট স্লিপ অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়।”
রোগীদের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাখী এন্টারপ্রাইজের তত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম সরদার বলেন, “সরকার নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী সব সরবরাহ করা হয়।”