খুলনার ডুমুরিয়ায় অবৈধ ইটভাটা গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান, ১১ লাখ টাকা জরিমানা
আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো ৭টি ইট ভাটাকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন না মানার কারণে এবং অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানোর দায়ে এই জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে।
৬ জানুয়ারি, দিনব্যাপী চলা অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাবুর রহমান। অভিযানে ইটভাটাগুলোর জলন্ত চুল্লী নিস্ক্রিয় করতে পানি ছিটিয়ে ভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানে জরিমানা করা ইটভাটাগুলোর মধ্যে রয়েছে আব্দুল হাই বাহারের মেসার্স বাহার ব্রিক্স, কুলবাড়িয়া (চুল্লী ভেঙে দেওয়া হয়), শাহাজাহান জমাদ্দারের সান ব্রিক্স, খর্নিয়া ব্রিজ (২ লাখ টাকা), মেরি ব্রিক্স, রানাই (২ লাখ টাকা), জেবি ব্রিক্স, আব্দুল লতিফ জমাদ্দার, রানাই (২ লাখ টাকা), লুইন ব্রিক্স, আমিনুর রশিদ, খর্নিয়া (২ লাখ টাকা), সেতু ব্রিক্স, গাজী আব্দুল হক, চহেড়া (১ লাখ টাকা), স্টোন ব্রিক্স, ইকবাল জমাদ্দার, শোলগাতিয়া (২ লাখ টাকা) ।
এ ছাড়া, ২০২১ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের রিট মামলার পরিপেক্ষিতে উচ্চ আদালত ডুমুরিয়া এলাকার ১৪টি অবৈধ ইটভাটাকে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশনা অনুসারে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৬টি ইটভাটা উচ্ছেদ করে এবং ৮টি ইটভাটা সিলগালা করে দেয়। তবে, কিছু ভাটা মালিকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটা চালু রাখেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম, ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।