খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু: রহস্য উদঘাটনের ধাপে নৌপুলিশ
খুলনায় সাংবাদিক ওয়াহেদ উজ জামান বুলুর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে নৌপুলিশ কাজ শুরু করেছে। এটি কি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, তা আজ সন্ধ্যার মধ্যে স্পষ্ট হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত সোমবার বুলুর ভাই আনিসুজ্জামান দুলু লবনচরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, রুপসা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল খায়ের জানিয়েছেন, সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে সব বিষয়কে বিশ্লেষণ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার সন্ধ্যায় বুলু খানজাহানআলী (রুপসা) সেতুর ৬০-৭০ ফিট উচ্চতা থেকে নিচে লাফ দেন। এতে তার মুখ, মাজা ও পা ভেঙে যায়। রুপসা সেতুর ওপর কোন সিসি ক্যামেরা না থাকায়, টোল ঘর এবং সেতুর পশ্চিম প্রান্তের দুটি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে।
খুলনা নৌপুলিশ সুপার ড. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, বুলুকে ফেলে দেওয়া হয়েছে নাকি স্বেচ্ছায় ঝাপ দিয়েছেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বুলুর মোবাইল ফোন থেকে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে একটি ধারণা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার খানজাহানআলী সেতুর ২ নং পিলারের পাইল ক্যাপ থেকে বুলুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দৈনিক বঙ্গবানী পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং পরে দৈনিক আজকের কাগজ, চ্যানেল ওয়ান, ইউএনবি, দৈনিক প্রবাহ ও সর্বশেষ দৈনিক প্রতিদিনে কর্মরত ছিলেন। বুলু খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সদস্য ছিলেন।