খুলনায় সাংবাদিকদের জন্য ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত
খুলনায় সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মশালা ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনার সিটি ইন হোটেলে আয়োজিত এই কর্মশালায় জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন টিভি, প্রিন্ট এবং অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ২৪ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের তথ্য যাচাই ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়ানো। সিজিএস এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান কর্মশালার উদ্বোধনকালে বলেন, “ডিজিটাল যুগে ভুল তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু জনআস্থা বৃদ্ধিতেই নয়, বরং সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে সহায়ক।”
প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএফপি বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পাদক কাদারউদ্দিন শিশির। তিনি সাংবাদিকদের তথ্য যাচাইয়ের কৌশল ও আধুনিক ফ্যাক্ট-চেকিং টুলস ব্যবহারের ওপর বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা কিভাবে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য চিহ্নিত করতে পারেন তা শিখেছেন।
এক অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক বলেন, “এই প্রশিক্ষণে শেয়ার করা কৌশলগুলো আমাদের পেশাগত কাজে অত্যন্ত কার্যকর। এটি দায়িত্বশীল রিপোর্টিং নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।” আরেকজন নারী সাংবাদিক জানান, “এই কর্মশালা আমার ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পর্কে জ্ঞান বিস্তৃত করেছে এবং ভুল তথ্য প্রতিরোধে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।”
কর্মশালার অংশ হিসেবে সিজিএস তাদের নতুন উদ্যোগ “ফ্যাক্ট চেকিং হাব” সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করে। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং পরিস্থিতি নিয়ে হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে এবং বিভিন্ন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার তথ্য একত্রিত করে একটি কেন্দ্রীভূত তথ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করবে।
এক অংশগ্রহণকারী মন্তব্য করেন, “ফ্যাক্ট চেকিং হাব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা নির্ভরযোগ্য তথ্যের সহজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে। এটি ভুয়া তথ্য সনাক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকর।”
এই কর্মশালা সিজিএস এর “ডিফেন্ডিং ডিজিটাল স্পেসেস অ্যান্ড ইউনাইটিং এগেইনস্ট মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ” প্রোগ্রামের অংশ। সিজিএস তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকতার গুণগত মান উন্নয়ন এবং দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস):সিজিএস একটি বাংলাদেশভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক যা সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাগত সম্প্রদায়, সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে শাসনের মান উন্নয়নে কাজ করে। এর লক্ষ্য হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, গণতন্ত্রীকরণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করা।