খুলনায় রেলের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ, ঘুষে চুপ কর্মকর্তারা
অভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি কাজে লাগিয়ে খুলনায় রেলওয়ের জমি দখল করে নির্মিত হয়েছে একাধিক মার্কেট, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই লাখ লাখ টাকায় হাতবদল হচ্ছে এসব দোকান। অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, রেলওয়ে হাসপাতাল রোডের চিকিৎসক বাসভবন “ডাক্তার বাড়ি” ভেঙে সেখানে ১৪টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে তা সরিয়ে নতুন প্রাচীর নির্মাণেরও প্রমাণ মিলে। তবে আশঙ্কায় ক্রেতারা দোকান কিনতে রাজি নন।
এছাড়া জোড়াগেট রেলওয়ে কলোনীর ভেতরের একাধিক পুকুর ভরাট করে রাজনৈতিক কর্মীরা মাছ চাষ করছেন। স্টেশন রোডে রেলওয়ের গাড়ি চালকের ভবন ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন দোকান। নগরীর ৬নং ঘাট এলাকায় পার্ক ও মসজিদের পাশের জমিতেও মার্কেট তৈরির চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, এসব অবৈধ স্থাপনার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের হাত রয়েছে। এমনকি ইজারা, দোকান বিক্রি ও দখল নিয়ে কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। একাধিক সূত্র দাবি করেছে, ফিল্ড কানুনগো ও পাকশী অঞ্চলের রেলওয়ে কর্মকর্তারাও এর থেকে অবৈধ সুবিধা পাচ্ছেন।
রেলওয়ে খুলনার ফিল্ড কানুনগো মো: সহিদুজ্জামান অবশ্য দাবি করেছেন, “কোনও ধরনের অবৈধ লেনদেনে রেলের কেউ জড়িত নয়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে এরশাদ শিকদার রেলের জমি দখল করে “সাদ মনি মার্কেট” নির্মাণ করেছিলেন, যা ২০০২ সালে ভেঙে দেয় প্রশাসন। ২৩ বছর পর সেই জমিতেও ফের মার্কেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।