খুলনায় ময়ুর নদ রক্ষায় কেসিসি প্রশাসকের অঙ্গীকার
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার বলেছেন, “ময়ুর নদকে সুন্দর পরিবেশে ফিরিয়ে আনার সব চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব।”
তিনি জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে কেসিসি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তবে জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। অবসরজনিত কারণে জনবল হ্রাস পেলেও শূন্যপদ পূরণ হলে কাজ আরও গতিশীল হবে এবং নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে “পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষায় ময়ুর নদের বিদ্যমান সংকট: আদালতের আদেশে বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষিত” শীর্ষক মতামত প্রদান সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
কেসিসি প্রশাসক বলেন, ময়ুর নদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নাগরিকদের মতামতকে তিনি শিক্ষনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড, কেডিএ ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে আরেকটি সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব দেন।
এ সময় তিনি গল্লামারী সেতুর নির্মাণকাজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেতুর সরঞ্জাম ইতিমধ্যে দেশে পৌঁছেছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুষার কান্তি রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান ও নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো: মাসুদ করিম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেসিসির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকে তাছাদুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট তানভীর হায়দার, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি এ্যাড. কুদরত ই খুদা, সাধারণ সম্পাদক সুতপা বেদজ্ঞ, বেলার নেটওয়ার্ক সদস্য এ্যাড. নুরুন্নাহার পলি ও এ্যাড. পপি ব্যানার্জি, দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি মু. তারেক রাজীব, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।