খুলনায় বিষাক্ত মদ পান করে আরও দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া গ্রামে বিষাক্ত মদ (স্পিরিট জাতীয় এলকোহল) পান করে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে একজন এবং শনিবার রাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় আরও কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন—থুকড়া গ্রামের রেজওয়ান গাজীর ছেলে রবিউল গাজী এবং জামির সরদারের ছেলে রাসেল সরদার।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার রাতে থুকড়া বাজারে তারা স্পিরিট জাতীয় এলকোহল পান করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই রবিউল গাজীকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ বলে উল্লেখ করে মরদেহ দাফন করা হয় এবং পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, রাসেল সরদারকে শনিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারও মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রাসেলের বাবা জামির সরদার বলেন, “ছেলেটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তাই হাসপাতালে নিয়ে যাই। সে কিছু খেয়েছে কি না আমি জানি না।”
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুক্রবার রাতে থুকড়া বাজারে কয়েকজন মিলে এলকোহল সেবন করে। এরপর থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ বাড়িতে থেকে, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এলাকায় মাদকের সয়লাব চলছে। অল্প বয়সী যুবকেরা সহজেই এসব মাদক সংগ্রহ করতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা খুবই সীমিত। কেউ ধরা পড়লেও সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়। এই অবস্থায় যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।”
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বা নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডুমুরিয়া থানার ওসি মাসুদ রানা।