খুলনায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, একজন গ্রেফতার
খুলনা মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামি জ্যোতি পলাতক থাকলেও তার সহযোগী হুমায়ুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী খুলনা সদর থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে হুমায়ুন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মূল আসামি জ্যোতির বন্ধু এবং রূপসা স্ট্যান্ড রোডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের ছেলে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তিনি খুলনার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুই মাস আগে খুলনা সিটি করপোরেশন মার্কেটে তার সঙ্গে সুলতান আহমেদ রোডের হিমুর ছেলে জ্যোতির পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। পরে জানা যায়, জ্যোতির আগে থেকেই বিয়ে রয়েছে, তবে তা ভুক্তভোগী ছাত্রী জানতেন না।
ছাত্রীর অভিযোগ, গত ২৬ এপ্রিল জ্যোতি তাকে রূপসা বাসস্ট্যান্ড রোডের বন্ধু জাহিদের পাঁচতলা ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জ্যোতি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে জ্যোতি নিজের আরও দুই বন্ধুর সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপনে চাপ দিতে থাকে এবং রাজি না হলে তাদের একান্ত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী আরও জানান, সোমবার রাতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে জ্যোতির বাড়িতে গেলে সেখানেই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি পরবর্তীতে পুনরায় তাদের বাড়ির সামনে গেলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জ্যোতির সহযোগী হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে। তবে প্রধান আসামি জ্যোতি এখনও পলাতক।
ওসি সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”