খুলনায় বাটার, কেএফসি ও ডমিনোসে ভাংচুর-লুটপাট, অবস্থান করছে পুলিশ ও র্যাব
খুলনার শিববাড়ি মোড় এলাকায় টাইগার গার্ডেনের বাটার শোরুমে সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। হামলার ঘটনায় শোরুমের ম্যানেজারসহ অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার শাখাতেও হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শোরুম কর্মীদের ভাষ্যমতে, মাগরিবের নামাজের পর আনুমানিক দেড়শ থেকে দুইশ জনের একটি বিক্ষুব্ধ দল বাটার শোরুমে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। শোরুমের কর্মচারী অন্তর জানান, “হামলাকারীরা প্রায় ৮০ শতাংশ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। শোরুমের ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয়।” এ সময় এক নিরাপত্তা কর্মীও আহত হন বলে জানা গেছে।
হামলাকারীরা শোরুমের ভেতরের আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল, গ্লাস ও কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। বর্তমানে শোরুমটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা অবস্থান করছে।
এছাড়া, একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার শাখায়ও হামলা চালায় তৌহিদী জনতার একটি অংশ।
জানা যায়, দুপুর ৩টার দিকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে খুলনায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে একটি অংশ কেএফসি ও ডমিনোসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাইরে থাকা কাচের গ্লাস ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং সেগুলো দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়।
এ সময় উপস্থিত জনতার একাংশ দেশের বাজারে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি বন্ধের দাবিতে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ঘটনার পর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তারা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।