খুলনায় পাইলট প্রকল্প থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হলো ভেনামি চিংড়ি চাষ
খুলনার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটার সিমান্তবর্তী চক শৌলমারী এলাকায় পাইলট প্রকল্পের সফলতার পর বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু হয়েছে। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু সায়েদ মো: মনজুর আলম আজ ১২ আগস্ট জেবিএস ফুড প্রডাক্টস এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের খামারে আয়োজিত ভেনামি চিংড়ি আহরণ ও চাষি সমাবেশে বলেন, ভেনামি চিংড়ি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং ১০০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব। এ চিংড়ির বিদেশি বাজারে চাহিদা খুবই বেশি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ভেনামি চাষের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি ও পলিসি সাপোর্ট প্রয়োজন। এছাড়া স্থানীয়ভাবে পোনা, মেডিসিন এবং খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমানো গেলে উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
খামারে এক একর জমির পুকুর থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি ভেনামি চিংড়ি আহরণ করা হয়, যা হেক্টর প্রতি ১৪,৮২৮ কেজি উৎপাদন নিশ্চিত করে।
জেবিএস ফুডের এমডিও শ্যামল দাস জানান, পূর্বে থাইল্যান্ড থেকে পোনা ও ভারত থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানি করা হতো। বর্তমানে বানিজ্যিক চাষ চলছে, তবে ট্যাক্সের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সরকারের সহায়তায় খরচ কমে গেলে চাষে ব্যাপক সম্প্রসারণ সম্ভব।
সভায় খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: বদরুজ্জামান, বিএফএফ ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ কামরুল আলম, বটিয়াঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সেলিম সুলতান, টোটাল ফুডসের পরিচালক প্রফেসর মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কুমার রায় ও জনতা ব্যাংক মোংলা শাখার ব্যবস্থাপক সুশান্ত মন্ডলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।
জানা গেছে, শেলমারী এলাকায় এমইউসি ফুড লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে গত তিন বছর ধরে জেবিএস ফুড প্রডাক্টস খামারে হার্ভেস্টার পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ হচ্ছে। মোট ৫ একর জমির ৬টি পুকুরে ৫টিতে চাষ চলছে এবং ১টি পুকুর রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে।