খুলনায় টিসিবির স্মার্ট কার্ডে স্বস্তির হাসি, তবে কিছু ওয়ার্ডে অনিয়মের অভিযোগ
খুলনার অসহায় মানুষের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হাতে পেয়ে। বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) পরিচালিত ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে নতুন করে কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রথম ধাপে ২১,৩৮৪টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত এ কার্যক্রমে বিভিন্ন অনিয়ম—এক পরিবারে একাধিক কার্ড, অযোগ্যদের অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি—চিহ্নিত হওয়ায় সারা দেশে ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮৫ হাজার ৩৬১টি কার্ডের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪১ হাজার ৫০টি কার্ড বাতিল করা হয়।
তবে নতুন কার্ড পেয়ে যেমন অনেক পরিবার খুশি, তেমনি হতাশাও দেখা দিয়েছে কিছু ওয়ার্ডে। অভিযোগ রয়েছে—তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকে কার্ড পাননি, আবার কেউ কেউ মুখ চেনা বা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে একাধিক কার্ড পেয়েছেন।
নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের অচল প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলাম বাদল জানান, “আগে কার্ড পেয়েছিলাম, এবার কাগজ জমা দিয়েও পাইনি।” একই ওয়ার্ডের অবিবাহিত এতিম মিতা আক্তার জানান, তাকে বলা হয়েছে তার স্বামীর ভোটার আইডি লাগবে, অথচ তিনি অবিবাহিত।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে ১২ নং ওয়ার্ড অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি প্রকৃত অসহায়দের অন্তর্ভুক্ত করতে। অনিয়মের অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”
এদিকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা গেছে, অনেক সুবিধাবঞ্চিত পরিবার এখনো কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের দাবি, ওয়ার্ড অফিসে সঠিক যাচাই না হওয়ায় প্রকৃত উপকারভোগীরা বাদ পড়ছেন। এ অবস্থায় তারা সঠিক তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর ও বারকোড যাচাই করে পণ্য হস্তান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি কার্ডও পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে বলে জানায় টিসিবি।