খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল শুনানি পেছাল
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানি দুই মাস পিছিয়েছে। নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে।
রোববার (১৭ আগস্ট) খায়রুল হকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে একজন জুনিয়র আইনজীবী সময় নেন। তবে আওয়ামীপন্থি কোনো সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অনেক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১১ আগস্ট একই মামলার শুনানিতে আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার এজলাস কক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সেদিন বিকেল ৩টার দিকে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মোহসীন রশিদ, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। অন্যদিকে এজলাসে আগে থেকেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শুরু হলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় নিতে বলেছেন। তখন খায়রুল হকের আইনজীবী মোহসিন রশিদ আপত্তি জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খায়রুল হকের আইনজীবীদের উদ্দেশে তীব্র ভাষায় বলেন, “সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যখন দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হলো, তখন আপনারা নীরব ছিলেন। আজ আবার গণতন্ত্র ধ্বংসকারী কুলাঙ্গারের জামিন চাইতে এসেছেন।”
অবস্থার অবনতিতে আদালত বারবার উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং শেষ পর্যন্ত মামলার শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুনানি হবে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে।