ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাঁচায় বন্দী ২০০ ঘুঘু অবমুক্ত করল ভ্রাম্যমাণ আদালত

মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি::

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরের একটি দোকানে খাঁচায় বন্দী ২০০টি ঘুঘু পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ (৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার আজাদ আলী নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন শিকারির কাছ থেকে ঘুঘু পাখি কিনে দোকানে বিক্রি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দোকানে অভিযান চালানো হলে ৯টি খাঁচায় মোট ২০০টি ঘুঘু পাখি পাওয়া যায়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে দোকান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আজাদ আলী। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি।

পাখিগুলো জব্দ করে ঘটনাস্থলেই জনসম্মুখে অবমুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ঘুঘু পাখির মতো বন্যপ্রাণী শিকার ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হবে।”

অভিযানকালে আরও দুটি দোকানে অনিয়ম পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা আদায় করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
৫২৮ বার পড়া হয়েছে

খাঁচায় বন্দী ২০০ ঘুঘু অবমুক্ত করল ভ্রাম্যমাণ আদালত

আপডেট সময় ১২:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরের একটি দোকানে খাঁচায় বন্দী ২০০টি ঘুঘু পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ (৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার আজাদ আলী নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন শিকারির কাছ থেকে ঘুঘু পাখি কিনে দোকানে বিক্রি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দোকানে অভিযান চালানো হলে ৯টি খাঁচায় মোট ২০০টি ঘুঘু পাখি পাওয়া যায়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে দোকান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আজাদ আলী। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি।

পাখিগুলো জব্দ করে ঘটনাস্থলেই জনসম্মুখে অবমুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ঘুঘু পাখির মতো বন্যপ্রাণী শিকার ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হবে।”

অভিযানকালে আরও দুটি দোকানে অনিয়ম পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা আদায় করা হয়।