ক্লাসে ফেরেননি কুয়েটের শিক্ষকরা
দীর্ঘ আড়াই মাস পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাসে ফিরেননি শিক্ষকরা। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালুর কথা থাকলেও শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরলেও, একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো নয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, একাডেমিক ভবনগুলো খোলা থাকলেও ক্লাস হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে অনিশ্চয়তা ও হতাশা।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হযরত আলী প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এরপর তিনি পর্যায়ক্রমে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
এদিকে ক্লাস না শুরু হওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থীরা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই ক্লাস শুরু হোক। বিচারের প্রক্রিয়া চলুক পাশাপাশি। প্রয়োজনে আমরা শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি আছি। কেউ কেউ ইন্ডিভিজুয়ালভাবে স্যারদের পা ধরে মাফ চাইতেও প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “যারা অন্যায়ভাবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি ঢুকিয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদের সুষ্ঠু বিচার আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক, এটা আমাদের দাবি।”
উল্লেখ্য, কুয়েট শিক্ষক সমিতি চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিল, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। সেই অবস্থানেই এখনও অটল রয়েছেন শিক্ষকরা।