“ক্যাপিটেশন গ্রান্ড” বরাদ্দ ও বণ্টন নীতিমালা – ২০২৪ সম্পর্কে অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত
“ক্যাপিটেশন গ্রান্ড বরাদ্দ ও বণ্টন নীতিমালা – ২০২৪ সম্পর্কে অবহিতকরণ” শীর্ষক সেমিনার খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় শহর সমাজসেবা কার্যালয়-৩, খালিশপুর, খুলনা-এর কনফারেন্স হল রুমে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, খুলনার উপপরিচালক কানিজ মোস্তফা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নিবন্ধিত এতিমখানাগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের আওতাভুক্ত সুবিধাভোগীদের সহায়তা প্রদানের নিয়মাবলী ব্যাখ্যা করাই এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি মাদ্রাসা প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক হয়েছে, তাই তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রম সম্পর্কে যথাযথভাবে সচেতন থাকতে হবে।”
উপপরিচালক আরও বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থ যেন সঠিকভাবে এতিম শিশুদের ভরণ-পোষণ ও কল্যাণে ব্যয় করা হয়, সে বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধিদের সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি, এতিম শিশুদের কম্পিউটার, আইটি, স্পোকেন ইংলিশসহ বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করার আহ্বান জানান, যাতে তারা ১৮ বছর পর স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি বলেন, “এতিম শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুদান তুলতে দেওয়া ঠিক নয়, কারণ এটি ভিক্ষাবৃত্তির দিকে ঠেলে দেয়।” তাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে তাদের সঠিক দেখভালের জন্য বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে।
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার এতিম শিশুদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া, তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধিদের সব মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এতিম শিশুদের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক (পিএইচটি সেন্টার), খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজসেবা অফিসার (কার্যালয়-৩, খালিশপুর) মানব রঞ্জন বাছাড়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন অফিসার মাসুদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সংগঠক বিশ্বজিৎ সাহা, ক্যাপিটেশন গ্রান্ডপ্রাপ্ত বিভিন্ন এতিমখানার কমিটির প্রতিনিধিরা এবং অন্যান্য সমাজসেবা কর্মকর্তারা।
এই সেমিনারের মাধ্যমে এতিম শিশুদের কল্যাণে সরকারি নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়, যা ভবিষ্যতে তাদের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।