ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেডিএর স্থাপনা নিলামে কোটি টাকার দরপত্র ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কর্তৃক আয়োজিত স্থাপনা নিলামে কোটি টাকার দরপত্র বিএনপি ও সাবেক যুবদল নেতাদের অংশগ্রহণে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ (৩ আগস্ট) ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

শনিবার রাতেই বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দরপত্র সংগ্রহ করা হয়। যেসব ব্যবসায়ী সময়মতো দরপত্র জমা দিতে পারেননি, তাদের জন্য কেডিএ ভবনের চারপাশে কঠোর পাহারা দেয়া হয়। ৪টি অংশের জন্য মোট ৮৭টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি অংশে ৪ থেকে ৭টির মধ্যে দরপত্র জমা পড়েছে।

কেডিএ থেকে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই কেডিএর তিনটি সংযোগ সড়ক প্রকল্পের মধ্যে দ্বিতীয়টি — খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোড থেকে রায়ের মহল পর্যন্ত দুপাশের কাঁচা ও পাকা স্থাপনা, গাছপালা ও ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রকাশ করা হয়। ৩১ জুলাই ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ। ওই দিন পর্যন্ত মোট ৮৭ জন দরপত্র ক্রয় করেন।

আজ বেলা ১২টায় দরপত্র জমা নেওয়া হয় এবং বিকাল ৩টায় দরপত্র বাক্স খোলা হয়। সেখানে দেখা যায় ক-অংশে ৪টি,, খ-অংশে ৪টি,, গ-অংশে ৬টি এবং, ঘ-অংশে ৭টি দরপত্র জমা পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাদের ডেকে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং কাজ পাওয়ার অংশ হিসেবে লাভের একটি অংশ ভাগাভাগির প্রলোভন দেওয়া হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত কেডিএ কার্যালয়ের ভিতরে এসব দরবার চলে। অনেকেই দরপত্র জমা দিয়েছেন, আবার অনেকে দেননি।

দরপত্র জমা নেওয়ার সময় কেডিএ ভবনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় সোনাডাঙ্গা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুবদলের সাবেক নেতা সুলতান মাহমুদ সুমন ও আবদুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মিনহাজ্জামান তাজ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভুট্রো, জেলা বিএনপির নেতা শেখ আবদুর রশিদ এবং নগরীর শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি কেডিএর কিছু কর্মচারীর সহযোগিতার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।

কেডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোর্তজা আল মামুন জানান, “দরপত্র জমা দিতে বাঁধা বা কেড়ে নেওয়ার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অফিসের ভিতরে এই নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। দরপত্র বাক্স খোলার সময় অনেক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
৫১৯ বার পড়া হয়েছে

কেডিএর স্থাপনা নিলামে কোটি টাকার দরপত্র ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কর্তৃক আয়োজিত স্থাপনা নিলামে কোটি টাকার দরপত্র বিএনপি ও সাবেক যুবদল নেতাদের অংশগ্রহণে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ (৩ আগস্ট) ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

শনিবার রাতেই বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দরপত্র সংগ্রহ করা হয়। যেসব ব্যবসায়ী সময়মতো দরপত্র জমা দিতে পারেননি, তাদের জন্য কেডিএ ভবনের চারপাশে কঠোর পাহারা দেয়া হয়। ৪টি অংশের জন্য মোট ৮৭টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি অংশে ৪ থেকে ৭টির মধ্যে দরপত্র জমা পড়েছে।

কেডিএ থেকে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই কেডিএর তিনটি সংযোগ সড়ক প্রকল্পের মধ্যে দ্বিতীয়টি — খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোড থেকে রায়ের মহল পর্যন্ত দুপাশের কাঁচা ও পাকা স্থাপনা, গাছপালা ও ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রকাশ করা হয়। ৩১ জুলাই ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ। ওই দিন পর্যন্ত মোট ৮৭ জন দরপত্র ক্রয় করেন।

আজ বেলা ১২টায় দরপত্র জমা নেওয়া হয় এবং বিকাল ৩টায় দরপত্র বাক্স খোলা হয়। সেখানে দেখা যায় ক-অংশে ৪টি,, খ-অংশে ৪টি,, গ-অংশে ৬টি এবং, ঘ-অংশে ৭টি দরপত্র জমা পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাদের ডেকে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং কাজ পাওয়ার অংশ হিসেবে লাভের একটি অংশ ভাগাভাগির প্রলোভন দেওয়া হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত কেডিএ কার্যালয়ের ভিতরে এসব দরবার চলে। অনেকেই দরপত্র জমা দিয়েছেন, আবার অনেকে দেননি।

দরপত্র জমা নেওয়ার সময় কেডিএ ভবনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় সোনাডাঙ্গা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুবদলের সাবেক নেতা সুলতান মাহমুদ সুমন ও আবদুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মিনহাজ্জামান তাজ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভুট্রো, জেলা বিএনপির নেতা শেখ আবদুর রশিদ এবং নগরীর শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি কেডিএর কিছু কর্মচারীর সহযোগিতার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।

কেডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোর্তজা আল মামুন জানান, “দরপত্র জমা দিতে বাঁধা বা কেড়ে নেওয়ার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অফিসের ভিতরে এই নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। দরপত্র বাক্স খোলার সময় অনেক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”