কুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ঝুঁকির দায়িত্ব নিতে একজন অভিভাবক প্রয়োজন: শিক্ষক সমিতি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বর্তমানে চরম অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ভাইস চ্যান্সেলরের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একাডেমিক বা প্রশাসনিক কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একজন “অভিভাবক” তথা স্থায়ী ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ অতীব জরুরি বলে দাবি করেন তিনি।
আজ ২৩ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়েট ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। কুয়েট শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সাহিদুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. সাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রশাসনিক অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভাইস চ্যান্সেলর না থাকায় এমনকি বাসা বরাদ্দের মতো সাধারণ কাজও বন্ধ হয়ে আছে।” তিনি আরও বলেন, “৭১ এর অ্যাক্ট অনুযায়ী কুয়েটের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নেই, ফলে সবকিছুতে ভিসির অনুমোদন প্রয়োজন। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা অসম্ভব।”
শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও তাদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরীক্ষা, ক্লাস, সব বন্ধ। দ্রুত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুলতান মাহমুদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ, ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তারসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ।
অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিথী আক্তার এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেন আবু সায়েম।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকেই কুয়েটে ভাইস চ্যান্সেলরের পদ শূন্য রয়েছে। বিভিন্ন মহলের দাবির পরও এখনো স্থায়ী ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।