কুয়েটে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিল শিক্ষক সমিতি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার না হওয়ায় একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (১৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিচার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করছে।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিধান অনুযায়ী বিচার না করে প্রশাসন বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে, যা প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি পরিপন্থী। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে সংকটে পড়েছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, “মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বার্থ রক্ষায় এবং অদৃশ্য ‘উপর মহলকে’ তুষ্ট করতেই প্রশাসন বিচারিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”
তারা আরও হুঁশিয়ারি দেন, আগামীকাল সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না এলে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান ধর্মঘটসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেও সন্তোষজনক সমাধান না পাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।