ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালাইয়ে মাদ্রাসা সুপার দিলেন গোপনে নিয়োগ, সভাপতির স্ত্রীকে দিলেন চাকরি

সুকমল চন্দ্র বর্মন, কালাই, জয়পুরহাট::

জয়পুরহাটের কালাইয়ে শিকটা এ.জি দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী পদে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার আগ্রহী প্রার্থীরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তিনজন প্রার্থী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের ১১ তারিখে দুটি পত্রিকায় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যা এলাকার মানুষের চোখে পরে নাই এবং তা নোটিশ বোর্ডেও দেওয়া হয় নাই। গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখে পরীক্ষা এবং নিয়োগ বোর্ডের দিন শুরুর দেড় ঘন্টা আগেই মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি মিলে মোট ৮জন প্রার্থীর মধ্যে ৩জন প্রার্থীর নিয়োগ বোর্ড ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তিতে পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেয়ার কথা বলে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার পর সেই দিনই সকাল সাড়ে ১০টায় বাকি ৫জনকে নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের কাজ সম্পন্ন করে ওই মাদ্রাসার সভাপতি, ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়াও মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি মিলে গত কয়েক বছরের মধ্যে মাদ্রাসার কয়েকটি নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

অভিযোগকারী মুক্তা বানু সহ আরও দুই প্রার্থী রাব্বিউল হাসান,ও ফাতেমা খাতুন জানান, যে পত্রিকায় নিয়োগের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সে পত্রিকাগুলো এলাকায় আসেনা এবং মাদ্রাসার বোর্ডে ঝুলানো হয় নাই। মাদরাসার এক শিক্ষকের গোপন সংবাদের ভিওিতে জানতে পেয়ে আমরা আবেদন করি। আমরা পরিক্ষার দিন মাদ্রাসায় সকাল ৯টার দিকে উপস্থিত হলে মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি দুজনেই দেশের পরিস্থিতি খারাপের কারনে তাদেরকে পাঠিয়ে দিয়ে সেইদিনই মাদ্রাসার সভাপতি, ইউপি সদস্য এবং প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী তাজমিনা খাতুনকে নিয়োগ দেন।

মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাইয়ুম জানান, পরিক্ষা এবং ভাইভা শুরুর এক ঘন্টা আগে অভিযোগকারী মুক্তা বানুর মাদরাসার কাছে বাড়ি হওয়ায় পিয়নের মাধ্যমে তাকে ডেকে পাঠালে তিনি না আসলেও তার জন্য আধা ঘন্টা পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরীক্ষা এবং ভাইভা নেয়া হয়েছে। আর যেগুলো অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

মাদ্রাসার সভাপতি মোরশেদুল জানান, সে এবং তার স্ত্রী বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে তা মিথ্যা। সব কিছু নিয়মের মধ্যেই পরিক্ষা এবং ভাইভা দিয়েই আমার স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছে।

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইফতেখার রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

কালাইয়ে মাদ্রাসা সুপার দিলেন গোপনে নিয়োগ, সভাপতির স্ত্রীকে দিলেন চাকরি

আপডেট সময় ১১:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

জয়পুরহাটের কালাইয়ে শিকটা এ.জি দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী পদে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার আগ্রহী প্রার্থীরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তিনজন প্রার্থী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের ১১ তারিখে দুটি পত্রিকায় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যা এলাকার মানুষের চোখে পরে নাই এবং তা নোটিশ বোর্ডেও দেওয়া হয় নাই। গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখে পরীক্ষা এবং নিয়োগ বোর্ডের দিন শুরুর দেড় ঘন্টা আগেই মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি মিলে মোট ৮জন প্রার্থীর মধ্যে ৩জন প্রার্থীর নিয়োগ বোর্ড ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তিতে পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেয়ার কথা বলে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার পর সেই দিনই সকাল সাড়ে ১০টায় বাকি ৫জনকে নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের কাজ সম্পন্ন করে ওই মাদ্রাসার সভাপতি, ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়াও মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি মিলে গত কয়েক বছরের মধ্যে মাদ্রাসার কয়েকটি নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

অভিযোগকারী মুক্তা বানু সহ আরও দুই প্রার্থী রাব্বিউল হাসান,ও ফাতেমা খাতুন জানান, যে পত্রিকায় নিয়োগের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সে পত্রিকাগুলো এলাকায় আসেনা এবং মাদ্রাসার বোর্ডে ঝুলানো হয় নাই। মাদরাসার এক শিক্ষকের গোপন সংবাদের ভিওিতে জানতে পেয়ে আমরা আবেদন করি। আমরা পরিক্ষার দিন মাদ্রাসায় সকাল ৯টার দিকে উপস্থিত হলে মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি দুজনেই দেশের পরিস্থিতি খারাপের কারনে তাদেরকে পাঠিয়ে দিয়ে সেইদিনই মাদ্রাসার সভাপতি, ইউপি সদস্য এবং প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী তাজমিনা খাতুনকে নিয়োগ দেন।

মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাইয়ুম জানান, পরিক্ষা এবং ভাইভা শুরুর এক ঘন্টা আগে অভিযোগকারী মুক্তা বানুর মাদরাসার কাছে বাড়ি হওয়ায় পিয়নের মাধ্যমে তাকে ডেকে পাঠালে তিনি না আসলেও তার জন্য আধা ঘন্টা পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরীক্ষা এবং ভাইভা নেয়া হয়েছে। আর যেগুলো অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

মাদ্রাসার সভাপতি মোরশেদুল জানান, সে এবং তার স্ত্রী বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে তা মিথ্যা। সব কিছু নিয়মের মধ্যেই পরিক্ষা এবং ভাইভা দিয়েই আমার স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছে।

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইফতেখার রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।