ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কয়রায় নদী চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

খুলনার কয়রায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য কয়রা নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ওয়াপদার রাস্তা ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, অথচ স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নদীর পার্শ্ববর্তী একটি মৎস্য ঘের থেকে এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মাঠ ভরাট করছে। যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে, সেটি নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত এবং সরকারিভাবে সেখানে রক্ষা বাঁধও নির্মাণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র প্রসাদ সানা বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে সভাপতি আরশাদ মৌলভি সানার কাছে জানতে চান।” তিনি নিজে বালু উত্তোলনের বিষয়ে অবগত হলেও দায় নিতে রাজি হননি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মাওলানা আরশাদুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুলী বিশ্বাস বলেন, “আমি এখনই চৌকিদার পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিচ্ছি।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

কয়রায় নদী চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন

আপডেট সময় ০৬:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

খুলনার কয়রায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য কয়রা নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ওয়াপদার রাস্তা ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, অথচ স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নদীর পার্শ্ববর্তী একটি মৎস্য ঘের থেকে এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মাঠ ভরাট করছে। যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে, সেটি নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত এবং সরকারিভাবে সেখানে রক্ষা বাঁধও নির্মাণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র প্রসাদ সানা বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে সভাপতি আরশাদ মৌলভি সানার কাছে জানতে চান।” তিনি নিজে বালু উত্তোলনের বিষয়ে অবগত হলেও দায় নিতে রাজি হননি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মাওলানা আরশাদুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুলী বিশ্বাস বলেন, “আমি এখনই চৌকিদার পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিচ্ছি।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে।