ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনো উদ্ধার হয়নি জয়পুরহাট থানা থেকে লুট হওয়া ৭ অস্ত্র

সুকমল চন্দ্র বর্মন কালাই, জয়পুরহাট::

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে এখনো সাতটি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ফারজানা হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ওইদিন বিকেলে আনন্দ মিছিলের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী গিয়ে সেখানে আটকে থাকা সব পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। আগুনে থানার বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। থানার হেফাজতে থাকা কিছু মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় লুটপাটও করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার অস্ত্রগারের তালা ভেঙে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। সে সময় মেহেদী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর আনসার সদস্যরা থানা পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। থানার লুট হওয়া কিছু অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে ৪৪টি অস্ত্র খোয়া যায়। এখন পর্যন্ত ৩৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সাতটি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এরমধ্যে ছয়টি পিস্তল ও একটি রাইফেল রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

এখনো উদ্ধার হয়নি জয়পুরহাট থানা থেকে লুট হওয়া ৭ অস্ত্র

আপডেট সময় ০৫:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে এখনো সাতটি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ফারজানা হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ওইদিন বিকেলে আনন্দ মিছিলের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী গিয়ে সেখানে আটকে থাকা সব পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। আগুনে থানার বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। থানার হেফাজতে থাকা কিছু মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় লুটপাটও করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার অস্ত্রগারের তালা ভেঙে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। সে সময় মেহেদী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর আনসার সদস্যরা থানা পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। থানার লুট হওয়া কিছু অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে ৪৪টি অস্ত্র খোয়া যায়। এখন পর্যন্ত ৩৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সাতটি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এরমধ্যে ছয়টি পিস্তল ও একটি রাইফেল রয়েছে।