ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের দ্বিতীয় দিনে খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

রবিউল হোসন খান, খুলনা জেলা প্রতিনিধি::

ছবি: চেকপোস্ট

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের ছুটিতে খুলনা মহানগরীতে দেখা গেছে ভিন্ন এক চিত্র। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি ফাঁকা থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড় জমিয়েছেন খুলনাবাসী।

এ বছর ঈদের ছুটিতে খুলনা মহানগরীর আনন্দ ভ্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উল্লাস বিনোদন পার্ক। এছাড়া, বনবিলাস চিড়িয়াখানা, হাদিস পার্ক ও জাতিসংঘ শিশু পার্কেও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেও নগরবাসী পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে গেছেন এসব বিনোদন কেন্দ্রে। খুলনা সেনানিবাসের বনবিলাস চিড়িয়াখানায় অন্যান্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।

উল্লাস পার্কে উপচেপড়া ভিড় খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উল্লাস পার্ক। পার্কটিতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রায় প্রতিটি রাইডেই দীর্ঘ লাইন পড়ে, যা অনেক শিশু ও অভিভাবকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পার্কটি বাণিজ্যিক হওয়ায় প্রবেশমূল্য ও রাইডের ফি অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে।

অন্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোর চিত্র ঈদের ছুটিতে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, হাদিস পার্ক ও জাতিসংঘ শিশু পার্ক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকালে তুলনামূলক কম ভিড় থাকলেও বিকেল থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

খালিশপুর ও অন্যান্য স্থান খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে অন্যান্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও পার্কের পুরনো রাইড, রাইডের স্বল্পতা ও আকর্ষণীয় ব্যবস্থাপনার অভাব নিয়ে দর্শনার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

অঘোষিত বিনোদন কেন্দ্রগুলোর জনপ্রিয়তা শহরের ৭ নম্বর ঘাট, রূপসা সেতু ও ময়ুরী আবাসিক এলাকা ঈদের দিনে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ময়ুরী আবাসিক এলাকায় এখনো ভবন নির্মাণ না হওয়ায় মুক্ত বাতাসে ঘুরতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে সেখানে ছুটে যান অনেকে।

নগরীর ঈদ মেলা ও বিনোদন সংকট নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি ও স্থানীয় সংগঠনগুলোর ব্যানারে ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে শিশু পার্কগুলো বন্ধ করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ফলে দর্শনার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পর্যটন অবকাঠামোর অভাব খুলনার ৭ নম্বর ঘাটে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সামিউল ইসলাম সুমন বলেন, “খুলনা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বিভাগ হলেও এখানে ভালো পর্যটন সুবিধা নেই। যে কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোরও অবস্থা করুণ। অধিক প্রবেশমূল্য ও রাইডের বেশি ফি নেওয়ার কারণে অনেক দর্শনার্থী পার্কে না গিয়ে রূপসা ব্রিজ ও ৭ নম্বর ঘাটে সময় কাটান।”

নগরবাসী ও পর্যটকদের দাবি, খুলনায় মানসম্পন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা হোক, যাতে ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটানো যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
৫৮২ বার পড়া হয়েছে

ঈদের দ্বিতীয় দিনে খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেট সময় ০৮:০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের ছুটিতে খুলনা মহানগরীতে দেখা গেছে ভিন্ন এক চিত্র। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি ফাঁকা থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড় জমিয়েছেন খুলনাবাসী।

এ বছর ঈদের ছুটিতে খুলনা মহানগরীর আনন্দ ভ্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উল্লাস বিনোদন পার্ক। এছাড়া, বনবিলাস চিড়িয়াখানা, হাদিস পার্ক ও জাতিসংঘ শিশু পার্কেও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেও নগরবাসী পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে গেছেন এসব বিনোদন কেন্দ্রে। খুলনা সেনানিবাসের বনবিলাস চিড়িয়াখানায় অন্যান্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।

উল্লাস পার্কে উপচেপড়া ভিড় খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উল্লাস পার্ক। পার্কটিতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রায় প্রতিটি রাইডেই দীর্ঘ লাইন পড়ে, যা অনেক শিশু ও অভিভাবকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পার্কটি বাণিজ্যিক হওয়ায় প্রবেশমূল্য ও রাইডের ফি অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে।

অন্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোর চিত্র ঈদের ছুটিতে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, হাদিস পার্ক ও জাতিসংঘ শিশু পার্ক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকালে তুলনামূলক কম ভিড় থাকলেও বিকেল থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

খালিশপুর ও অন্যান্য স্থান খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে অন্যান্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও পার্কের পুরনো রাইড, রাইডের স্বল্পতা ও আকর্ষণীয় ব্যবস্থাপনার অভাব নিয়ে দর্শনার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

অঘোষিত বিনোদন কেন্দ্রগুলোর জনপ্রিয়তা শহরের ৭ নম্বর ঘাট, রূপসা সেতু ও ময়ুরী আবাসিক এলাকা ঈদের দিনে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ময়ুরী আবাসিক এলাকায় এখনো ভবন নির্মাণ না হওয়ায় মুক্ত বাতাসে ঘুরতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে সেখানে ছুটে যান অনেকে।

নগরীর ঈদ মেলা ও বিনোদন সংকট নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি ও স্থানীয় সংগঠনগুলোর ব্যানারে ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে শিশু পার্কগুলো বন্ধ করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ফলে দর্শনার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পর্যটন অবকাঠামোর অভাব খুলনার ৭ নম্বর ঘাটে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সামিউল ইসলাম সুমন বলেন, “খুলনা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বিভাগ হলেও এখানে ভালো পর্যটন সুবিধা নেই। যে কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোরও অবস্থা করুণ। অধিক প্রবেশমূল্য ও রাইডের বেশি ফি নেওয়ার কারণে অনেক দর্শনার্থী পার্কে না গিয়ে রূপসা ব্রিজ ও ৭ নম্বর ঘাটে সময় কাটান।”

নগরবাসী ও পর্যটকদের দাবি, খুলনায় মানসম্পন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা হোক, যাতে ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটানো যায়।