ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকের উপযুক্ত মজুরি নির্ধারণের নির্দেশ

ইসলামে শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি

চেকপোস্ট ডেস্ক::

ইসলাম শ্রমিকের উপযুক্ত মজুরি নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে। কেননা মজুরি যথাযথ না হলে শ্রমিকের পূর্ণ মনোযোগ ও আন্তরিকতা আশা করা যায় না। বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যথোপযুক্ত খাদ্য ও পরিধেয় মালিকানাধীন (বা অধীন) ব্যক্তির প্রাপ্য’। (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস: ৪১)

উক্ত হাদিসে ব্যবহৃত ‘মারুফ’ বা ‘যথোপযুক্ত’ শব্দটি তাৎপর্যবহ। কেননা কোনো পারিশ্রমিককে তখনই যথোপযুক্ত বলা যাবে, যখন তা শ্রমিকের মানবিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা দেবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘তোমাদের দাসরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীন করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে, তবে সে যা খায়, তা থেকে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা থেকে যেন পরিধান করায়’। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৫৪৫)

শ্রমিক ঠকানো ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম পাপ, বরং ইসলামের নির্দেশনা হলো, শ্রমিক তার প্রাপ্য সম্পর্কে ওয়াকিফহাল না হলেও মালিক তাকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে। যেমন—শোআইব (আ.) মুসা (আ.)-কে ডেকে এনে পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন।

পবিত্র কোরআনুল কারেমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তখন নারীদ্বয়ের একজন সলজ্জ পায়ে তার কাছে এলো এবং বলল, আমার পিতা আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করানোর বিনিময় প্রদানের জন্য’। (সূরা: কাসাস, আয়াত: ২৫)

অথচ বর্তমানে অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হয়। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে জাতির দুর্বল লোকেরা জোরজবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না, সেই জাতি কখনো পবিত্র হতে পারে না’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৪২৬)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘…যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে শ্রম আদায় করল এবং তার পারিশ্রমিক না দিয়ে চলে গেল; অপরজন হলো, যে অনর্থক কোনো প্রাণী হত্যা করে’। (মুসতাদরাকুল হাকিম, হাদিস: ২৭৪৩)

ইয়া আল্লাহ! পৃথিবীর সব মানুষকে এই মহাসংকট থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৩:০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
৫৩২ বার পড়া হয়েছে

শ্রমিকের উপযুক্ত মজুরি নির্ধারণের নির্দেশ

ইসলামে শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি

আপডেট সময় ০৩:০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ইসলাম শ্রমিকের উপযুক্ত মজুরি নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে। কেননা মজুরি যথাযথ না হলে শ্রমিকের পূর্ণ মনোযোগ ও আন্তরিকতা আশা করা যায় না। বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যথোপযুক্ত খাদ্য ও পরিধেয় মালিকানাধীন (বা অধীন) ব্যক্তির প্রাপ্য’। (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস: ৪১)

উক্ত হাদিসে ব্যবহৃত ‘মারুফ’ বা ‘যথোপযুক্ত’ শব্দটি তাৎপর্যবহ। কেননা কোনো পারিশ্রমিককে তখনই যথোপযুক্ত বলা যাবে, যখন তা শ্রমিকের মানবিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা দেবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘তোমাদের দাসরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীন করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে, তবে সে যা খায়, তা থেকে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা থেকে যেন পরিধান করায়’। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৫৪৫)

শ্রমিক ঠকানো ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম পাপ, বরং ইসলামের নির্দেশনা হলো, শ্রমিক তার প্রাপ্য সম্পর্কে ওয়াকিফহাল না হলেও মালিক তাকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে। যেমন—শোআইব (আ.) মুসা (আ.)-কে ডেকে এনে পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন।

পবিত্র কোরআনুল কারেমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তখন নারীদ্বয়ের একজন সলজ্জ পায়ে তার কাছে এলো এবং বলল, আমার পিতা আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করানোর বিনিময় প্রদানের জন্য’। (সূরা: কাসাস, আয়াত: ২৫)

অথচ বর্তমানে অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হয়। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে জাতির দুর্বল লোকেরা জোরজবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না, সেই জাতি কখনো পবিত্র হতে পারে না’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৪২৬)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘…যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে শ্রম আদায় করল এবং তার পারিশ্রমিক না দিয়ে চলে গেল; অপরজন হলো, যে অনর্থক কোনো প্রাণী হত্যা করে’। (মুসতাদরাকুল হাকিম, হাদিস: ২৭৪৩)

ইয়া আল্লাহ! পৃথিবীর সব মানুষকে এই মহাসংকট থেকে রক্ষা করুন। আমিন।