ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে উঠবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আগামী দিনে এদেশের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে শতকরা ৮৭% মুসলমান বসবাস করে। এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা সকল মুসলমানের ন্যায্য দাবি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেবল দেশে নয়, বিদেশেও সুনামের সঙ্গে নিজেকে মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করেছে। এই আন্দোলনের কোনো সদস্য কখনো অপকর্মে লিপ্ত হয়নি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনই ভবিষ্যতে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করবে।”
তিনি এসব কথা বলেন বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় খুলনার শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলার সভাপতি মুহাম্মদ ফরহাদ মোল্লা। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল গালিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহম্মদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হুসাইন নুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম এবং মুফতি ইমরান হুসাইন।
সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি বিগত ২০২৪ সালের জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০২৫ সালের জন্য নতুন জেলা ও মহানগর কমিটির ঘোষণা দেন। নতুন জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে মো. ফরহাদ মোল্লা, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ শেখ নির্বাচিত হন।
মহানগর কমিটির সভাপতি হিসেবে মো. মাহাদী হাসান মুন্না, সহ-সভাপতি বনি আমিন, এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান সাকিল দায়িত্ব পান।
সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান অতিথি।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন তার সাংগঠনিক শক্তি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলো। সংগঠনটি ইসলামিক শিক্ষার প্রসার এবং সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।