ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী দেশের শিক্ষাব্যবস্থা”: সুইসাইড নোটে লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

চেকপোস্ট ডেস্ক::

“আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা”-সুইসাইড নোটে এমন মন্তব্য করে আত্মহত্যা করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২)। রবিবার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ধ্রুবজিৎ একটি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। পরীক্ষাকক্ষে নকলসহ ধরা পড়ার পর দায়িত্বরত শিক্ষকরা তার খাতা নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর নিজ কক্ষে ফিরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

ধ্রুবজিতের লেখা সুইসাইড নোটে উল্লেখ ছিল-“সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (…….) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসি নিয়েই পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।”

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আজ তার পরীক্ষা ছিল এবং সে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ধরা পড়ে। পরে হল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের কক্ষে আত্মহত্যা করে।”

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ৈ জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান।”

ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চাপ ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৫১৮ বার পড়া হয়েছে

“আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী দেশের শিক্ষাব্যবস্থা”: সুইসাইড নোটে লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১১:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

“আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা”-সুইসাইড নোটে এমন মন্তব্য করে আত্মহত্যা করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২)। রবিবার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ধ্রুবজিৎ একটি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। পরীক্ষাকক্ষে নকলসহ ধরা পড়ার পর দায়িত্বরত শিক্ষকরা তার খাতা নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর নিজ কক্ষে ফিরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

ধ্রুবজিতের লেখা সুইসাইড নোটে উল্লেখ ছিল-“সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (…….) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসি নিয়েই পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।”

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আজ তার পরীক্ষা ছিল এবং সে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ধরা পড়ে। পরে হল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের কক্ষে আত্মহত্যা করে।”

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ৈ জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান।”

ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চাপ ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।