ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা তোমাকে ভুলবো না, আছিয়া

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি: চেকপোস্ট

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া আর নেই, তখন মনে হলো হৃদয়ের ভেতর যেন কোনো শূন্যতার সৃষ্টি হলো। এক মুহূর্তে দুমড়ে-মুচড়ে গেলাম আমি। কাচের মতো ভেঙে গেল মন। জীবন আর মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারেনি আমাদের ছোট্ট আছিয়া।

কেন হারাতে হলো আছিয়াকে? কী অপরাধ ছিল তার? কী দোষ করেছিল এই তৃতীয় শ্রেণির ছোট্ট শিশুটি? একটিও প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাইনি। আমরা কেন আছিয়ার জন্য নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলতে পারলাম না? কেন তাকে হিংস্র কিছু মানুষরূপী জানোয়ারের নির্মমতার শিকার হতে হলো?

যে আছিয়ার এখনো স্কুলের মাঠে ছোটাছুটি করার কথা, যে আছিয়ার খোলা বাতাসে উড়ন্ত চুল নিয়ে নির্মল হাসিতে মুখরিত হওয়ার কথা, তার কেন এমন নিষ্ঠুর পরিণতি হলো? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?

আমরা কি পারবো দ্রুত সময়ের মধ্যে আছিয়ার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে? নাকি এ ঘটনা অন্যান্য ঘটনার মতো সময়ের অতলে হারিয়ে যাবে?

আছিয়া, আমরা তোমাকে ভুলবো না। তুমি আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের হৃদয়ে। আমরা তোমার জন্য ন্যায়বিচার চাই।

আমরা আর কোনো আছিয়াকে হারাতে চাই না। আমাদের সমাজের এই ছোট্ট সোনামণিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে, কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

হোক শপথ—আর কোনো আছিয়ার স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেব না!

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০২:০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
৫২৪ বার পড়া হয়েছে

আমরা তোমাকে ভুলবো না, আছিয়া

আপডেট সময় ০২:০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া আর নেই, তখন মনে হলো হৃদয়ের ভেতর যেন কোনো শূন্যতার সৃষ্টি হলো। এক মুহূর্তে দুমড়ে-মুচড়ে গেলাম আমি। কাচের মতো ভেঙে গেল মন। জীবন আর মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারেনি আমাদের ছোট্ট আছিয়া।

কেন হারাতে হলো আছিয়াকে? কী অপরাধ ছিল তার? কী দোষ করেছিল এই তৃতীয় শ্রেণির ছোট্ট শিশুটি? একটিও প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাইনি। আমরা কেন আছিয়ার জন্য নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলতে পারলাম না? কেন তাকে হিংস্র কিছু মানুষরূপী জানোয়ারের নির্মমতার শিকার হতে হলো?

যে আছিয়ার এখনো স্কুলের মাঠে ছোটাছুটি করার কথা, যে আছিয়ার খোলা বাতাসে উড়ন্ত চুল নিয়ে নির্মল হাসিতে মুখরিত হওয়ার কথা, তার কেন এমন নিষ্ঠুর পরিণতি হলো? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?

আমরা কি পারবো দ্রুত সময়ের মধ্যে আছিয়ার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে? নাকি এ ঘটনা অন্যান্য ঘটনার মতো সময়ের অতলে হারিয়ে যাবে?

আছিয়া, আমরা তোমাকে ভুলবো না। তুমি আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের হৃদয়ে। আমরা তোমার জন্য ন্যায়বিচার চাই।

আমরা আর কোনো আছিয়াকে হারাতে চাই না। আমাদের সমাজের এই ছোট্ট সোনামণিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে, কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

হোক শপথ—আর কোনো আছিয়ার স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেব না!