লাখাইয়ে স্ত্রীর দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে মৃত সত্য বণিকের ছেলে রাজিব বণিকের বাড়িতে তিন দিন ধরে স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে অনশন করছেন কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন গ্রামের সনজিত কুমার বণিকের মেয়ে পপি রানী বণিক।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মোড়াকরি গ্রামের রাজিব বণিকের পিশার বাড়িতে গিয়ে অনশনকারী পপি রানী বণিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘ আট বছর ধরে রাজিব বণিকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তিনি রাজিবকে জানান যে তিনি বিবাহিত এবং এই সম্পর্ক না রাখাই ভালো হবে। কিন্তু রাজিব বণিক তা মানতে রাজি হননি।
পপি রানী আরও জানান, রাজিব বণিক তাকে তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন এবং বলেন, যদি তিনি রাজিবকে না পান, তবে আত্মহত্যা করবেন। এক পর্যায়ে পপি রানী তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দেন এবং রাজিবের সাথে সম্পর্ক গভীর হয়। রাজিব তাকে আশ্বাস দেন যে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এসে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন এবং বাড়িতে নিয়ে আসবেন।
কিছুদিন আগে পপি রানী জানতে পারেন, রাজিব দেশে ফিরেছেন। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। গত বুধবার সকালে তিনি রাজিবের বাড়িতে গেলে তার ছোট ভাই তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করেন। এরপর থেকে রাজিব বণিক পলাতক রয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পপি রানী জানান, রাজিব বণিক যদি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেন, তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বন্দে আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি জানার পর পপি রানীর বাবার সাথে কথা বলা হয়। তবে তার বাবা জানান, তিনি মেয়েকে ঘরে তুলবেন না। পরে মোড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছেলের পরিবারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির মীমাংসা করতে। এ ছাড়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।