ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতে ভিডিও কল দেন ছাত্রীদের : রাবি অধ্যাপক মনির

গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ফেল করানোর ভয় দেখানোসহ মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

 

গভীর রাতে ছাত্রীদের ভিডিও কল ও মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করা এবং অশালীন ভিডিও পাঠানোর কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া যায়। তিনি ছাত্রীদের ইঙ্গিত করে যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন তা প্রকাশের অযোগ্য। এ অবস্থায় ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, কারুশিল্প ডিসিপ্লিনে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রত্যেকটা ব্যাচের ব্যবহারিক ক্লাস ও মার্কিংয়ের দায়িত্ব একাই পালন করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন আহমেদ। ফলে বিভাগে তিনি একনায়কতন্ত্র কায়েম করে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর হুমকি দিয়ে থাকেন। তিনি ক্লাসের সবার সামনে ছাত্রীদের গায়ে আপত্তিকর স্থানে হাত দেন এবং রাত-বিরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও কল ও যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে মেসেজ দেন। শারীরিক গঠন নিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং তার কোলে বসার প্রস্তাবও দেন। বিবাহিত ছাত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের আলাপ, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত জানতে চেয়ে অশ্লীল বিভিন্ন বিষয় টেনে আনেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. মনির উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার কাছে ড. মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয় এবং তার বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করে। বিভাগের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি সেদিন বিকেলেই জরুরি একাডেমিক কমিটির মিটিং কল করি। সেখানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। মিটিংয়ে সবার পরামর্শে তাকে বিভাগের সবধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।’

 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছি। হয়তো ভিসি স্যারও পত্রটি পেয়েছেন। তবে কয়েকদিন ধরে ভিসি স্যার এতই ব্যস্ত যে, এ বিষয়ে কথা বলার সময় পাননি।

তিনি বলেন, স্যার এখন বাইরে আছেন। আগামী সপ্তাহে আমরা এ বিষয়ে একটা আপডেট জানাবো।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০১:৪১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০১ বার পড়া হয়েছে

রাতে ভিডিও কল দেন ছাত্রীদের : রাবি অধ্যাপক মনির

আপডেট সময় ০১:৪১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ফেল করানোর ভয় দেখানোসহ মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

 

গভীর রাতে ছাত্রীদের ভিডিও কল ও মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করা এবং অশালীন ভিডিও পাঠানোর কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া যায়। তিনি ছাত্রীদের ইঙ্গিত করে যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন তা প্রকাশের অযোগ্য। এ অবস্থায় ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, কারুশিল্প ডিসিপ্লিনে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রত্যেকটা ব্যাচের ব্যবহারিক ক্লাস ও মার্কিংয়ের দায়িত্ব একাই পালন করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন আহমেদ। ফলে বিভাগে তিনি একনায়কতন্ত্র কায়েম করে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর হুমকি দিয়ে থাকেন। তিনি ক্লাসের সবার সামনে ছাত্রীদের গায়ে আপত্তিকর স্থানে হাত দেন এবং রাত-বিরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও কল ও যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে মেসেজ দেন। শারীরিক গঠন নিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং তার কোলে বসার প্রস্তাবও দেন। বিবাহিত ছাত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের আলাপ, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত জানতে চেয়ে অশ্লীল বিভিন্ন বিষয় টেনে আনেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. মনির উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার কাছে ড. মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয় এবং তার বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করে। বিভাগের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি সেদিন বিকেলেই জরুরি একাডেমিক কমিটির মিটিং কল করি। সেখানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। মিটিংয়ে সবার পরামর্শে তাকে বিভাগের সবধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।’

 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছি। হয়তো ভিসি স্যারও পত্রটি পেয়েছেন। তবে কয়েকদিন ধরে ভিসি স্যার এতই ব্যস্ত যে, এ বিষয়ে কথা বলার সময় পাননি।

তিনি বলেন, স্যার এখন বাইরে আছেন। আগামী সপ্তাহে আমরা এ বিষয়ে একটা আপডেট জানাবো।