ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাহুবলে আদালতের নির্দেশে দখলকৃত রাস্তা উদ্ধার করলেন হাছন আলী

স্টাফ রিপোর্টার::

ছবি: চেকপোস্ট

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কাইতপাড়া গ্রামে আদালতের নির্দেশে নিজের জমি উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা হাছন আলী। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর দখলে থাকা রাস্তার নামে জমিটি অবশেষে আদালতের রায়ে ফেরত পান তিনি।

জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর আদালত হাছন আলীর পক্ষে রায় দেন। পরে তিনি নিজ ভুমিতে রাস্তার নামে দখল নেওয়া জমি পুনরায় বুঝে নেন।

এ ঘটনায় জানা যায়, হাছন আলী ও তার প্রতিবেশী ছালেক মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি হাছন আলী বাদী হয়ে ছালেক মিয়া, রেনু মিয়া, সাজিদ মিয়া, আছকির মিয়া ও কুটনকে আসামি করে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে হাছন আলী উল্লেখ করেন, মির্জাটুলা মৌজার ৯০ নং খতিয়ানে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে দুটি তফশিলে মোট ১৮ শতক জমি পান। পরে বোন নুরুন্নাহারের কাছ থেকে একই খতিয়ানের আরও ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু পাশ্ববর্তী ছালেক মিয়া ও তাঁর লোকজন জোরপূর্বক ওই জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেন।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত ৩০ অক্টোবর আদালত রায়ে বলেন, ছালেক মিয়ার বিকল্প রাস্তা থাকায় হাছন আলীর জমির ওপর দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারবে না। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর হাছন আলী বাশের খুঁটি পুঁতে জমি দখল নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই জমি নিয়ে এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আদালতের সর্বশেষ নির্দেশে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
৫৭৯ বার পড়া হয়েছে

বাহুবলে আদালতের নির্দেশে দখলকৃত রাস্তা উদ্ধার করলেন হাছন আলী

আপডেট সময় ০৮:০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কাইতপাড়া গ্রামে আদালতের নির্দেশে নিজের জমি উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা হাছন আলী। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর দখলে থাকা রাস্তার নামে জমিটি অবশেষে আদালতের রায়ে ফেরত পান তিনি।

জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর আদালত হাছন আলীর পক্ষে রায় দেন। পরে তিনি নিজ ভুমিতে রাস্তার নামে দখল নেওয়া জমি পুনরায় বুঝে নেন।

এ ঘটনায় জানা যায়, হাছন আলী ও তার প্রতিবেশী ছালেক মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি হাছন আলী বাদী হয়ে ছালেক মিয়া, রেনু মিয়া, সাজিদ মিয়া, আছকির মিয়া ও কুটনকে আসামি করে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে হাছন আলী উল্লেখ করেন, মির্জাটুলা মৌজার ৯০ নং খতিয়ানে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে দুটি তফশিলে মোট ১৮ শতক জমি পান। পরে বোন নুরুন্নাহারের কাছ থেকে একই খতিয়ানের আরও ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু পাশ্ববর্তী ছালেক মিয়া ও তাঁর লোকজন জোরপূর্বক ওই জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেন।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত ৩০ অক্টোবর আদালত রায়ে বলেন, ছালেক মিয়ার বিকল্প রাস্তা থাকায় হাছন আলীর জমির ওপর দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারবে না। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর হাছন আলী বাশের খুঁটি পুঁতে জমি দখল নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই জমি নিয়ে এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আদালতের সর্বশেষ নির্দেশে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।