ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকহানাদের কায়দায় হামলা” চালানো হয়েছে-বিএনপি নেতা বকুল

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার খালিশপুর মুজগুন্নী বাস্তহারা কলোনীতে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের নামে “পাকহানাদের কায়দায়” হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়িদের বিচার দাবি করেছেন।

রবিবার প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধরা রাস্তা অবরোধ করেন, টায়ার জ্বালান ও গাছের গুড়ি ফেলে পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টিয়ারসেল ব্যবহার করে।

এই ঘটনার পর দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। একটিতে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, অন্যটিতে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বকুল বলেন, “যদি প্রশাসন জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্বে থাকলেও তাদের উপর হামলা চালানো হয়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা রাখি, কিন্তু পুনর্বাসন না হলে রাজপথে নামতে বাধ্য হব।”

খুলনা মহানগর বিএনপি ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আহতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছেন এবং হামলার দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:২৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

পাকহানাদের কায়দায় হামলা” চালানো হয়েছে-বিএনপি নেতা বকুল

আপডেট সময় ০৬:২৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খুলনার খালিশপুর মুজগুন্নী বাস্তহারা কলোনীতে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের নামে “পাকহানাদের কায়দায়” হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়িদের বিচার দাবি করেছেন।

রবিবার প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধরা রাস্তা অবরোধ করেন, টায়ার জ্বালান ও গাছের গুড়ি ফেলে পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টিয়ারসেল ব্যবহার করে।

এই ঘটনার পর দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। একটিতে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, অন্যটিতে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বকুল বলেন, “যদি প্রশাসন জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্বে থাকলেও তাদের উপর হামলা চালানো হয়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা রাখি, কিন্তু পুনর্বাসন না হলে রাজপথে নামতে বাধ্য হব।”

খুলনা মহানগর বিএনপি ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আহতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছেন এবং হামলার দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।