ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নগরীতে মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে: কেসিসি প্রশাসক

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: চেকপোস্ট

নগরীতে মশার উপদ্রব কমানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মশা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণে কেসিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতিনিয়ত মশা বংশবিস্তার করে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আগামী ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০টি করে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। দরকার হলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মজুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

আজ ২২ মার্চ কেসিসির শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসির প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার। তিনি বলেন, নগরবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হবে। তবে মনে রাখা দরকার, মশা নিয়ন্ত্রণ কেবল কেসিসির একার পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই সভার মতামত নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। নিজের বাড়ির আঙিনা নিজেরাই পরিষ্কার রাখলে মশা থেকে অনেকাংশে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। যেখানে জলাবদ্ধতা, সেখানেই মশার বংশবিস্তারের সুযোগ থাকে। তাই অপ্রয়োজনে যেকোনো পাত্রে জমা থাকা পানি ফেলে দিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম, কেডিএর সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম মাহমুদুর রহমান, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) কোহিনূর জাহান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো: নিজামুল ইসলাম, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মশিউজ্জামান খান, ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার প্রমুখ।

সঠিক সময়ে মশার ওষুধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, নগরবাসীকে সচেতন করা, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া দখল হওয়া ২২টি খাল উদ্ধার, ময়ুর নদ সংস্কার, দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করা, মশা নিয়ন্ত্রণে সকল ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানো, প্রয়োজনে জনবল নিয়োগ, মশা নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা ইত্যাদি বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।

 

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

নগরীতে মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে: কেসিসি প্রশাসক

আপডেট সময় ০৮:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

নগরীতে মশার উপদ্রব কমানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মশা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণে কেসিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতিনিয়ত মশা বংশবিস্তার করে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আগামী ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০টি করে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। দরকার হলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মজুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

আজ ২২ মার্চ কেসিসির শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসির প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার। তিনি বলেন, নগরবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হবে। তবে মনে রাখা দরকার, মশা নিয়ন্ত্রণ কেবল কেসিসির একার পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই সভার মতামত নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। নিজের বাড়ির আঙিনা নিজেরাই পরিষ্কার রাখলে মশা থেকে অনেকাংশে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। যেখানে জলাবদ্ধতা, সেখানেই মশার বংশবিস্তারের সুযোগ থাকে। তাই অপ্রয়োজনে যেকোনো পাত্রে জমা থাকা পানি ফেলে দিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম, কেডিএর সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম মাহমুদুর রহমান, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) কোহিনূর জাহান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো: নিজামুল ইসলাম, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মশিউজ্জামান খান, ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার প্রমুখ।

সঠিক সময়ে মশার ওষুধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, নগরবাসীকে সচেতন করা, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া দখল হওয়া ২২টি খাল উদ্ধার, ময়ুর নদ সংস্কার, দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করা, মশা নিয়ন্ত্রণে সকল ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানো, প্রয়োজনে জনবল নিয়োগ, মশা নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা ইত্যাদি বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।