বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা চিরদিন মাথার মুকুট হয়ে থাকবে- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেকে নতুন করে সমন্বয়কের সার্টিফিকেট নিতে ভিড় করছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, নকল বিপ্লবের কাছে যেন মূল বিপ্লবের চেতনা নষ্ট না হয়। তিনি উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ তাদের স্বজনদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকেলে কেরানীগঞ্জের আগানগর আমবাগিচা মাঠে কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। নির্বাচিত সরকারই একটি দেশ বা রাষ্ট্র সঠিকভাবে চালাতে পারে। আমরা ১৭ বছর ধরে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছি। নির্বাচনের ব্যাপারে জনগণের মধ্যে নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একমাত্র নির্দলীয় সরকারই দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি ন্যায্যভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী যারা ছিল, তারা চিরকাল আমাদের মাথার মুকুট হয়ে থাকবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লবের আগেই আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লব শুরু করেছিলাম। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছি।”
তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি’র ভূমিকা এবং সরকারের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অপকর্ম চলছেই। দুর্নীতি এখনও দেশ থেকে বন্ধ হয়নি। প্রশাসনে দুর্নীতি এখনও বিদ্যমান। দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।”
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, “নারীদের বাদ দিয়ে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।”
এ সময় কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল খন্দকার এটিএম বজলুর রশিদ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা আরশাদ রহমান সফু, আসাদ খান, ইমান উল্লাহ মাস্তান, আবু তাহের, শহিদুল ইসলাম, সাঈদ সোনা মিয়া, হাজী বাহার প্রমুখ।